ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পর্যটন

ঈদের ছুটি কাটুক বাংলার তাজমহল, সোনারগাঁও ও পানামে

মাহফুজুর রহমান পারভেজ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪০৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৬
ঈদের ছুটি কাটুক বাংলার তাজমহল, সোনারগাঁও ও পানামে ছবি: অমিয়: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

নারায়ণগঞ্জ: ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে ভ্রমণের জন্য প্রস্তুত রাজধানী ঢাকার পাশের জেলা নারায়ণগঞ্জ। জেলার সোনারগাঁও উপজেলার তিনটি অন্যতম দর্শনীয় স্থান যে কারো জন্যই হতে পারে আকর্ষণের।

এগুলো হলো বাংলার তাজমহল, সোনারগাঁও জাদুঘর (বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন) ও পানাম নগরী।
 
এই ঈদের লম্বা ছুটিতে ঘুরে আসুন, অতি স্বল্প সময়েই।

সোনারগাঁও জাদুঘর
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বেষ্টিত সোনারগাঁও বাংলার প্রাচীন রাজধানী। ঢাকা থেকে যা মাত্র ২৪ কিলোমিটার দূরে।

এখানে লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের বিশাল চত্বরে রয়েছে বেশ কয়েকটি পিকনিক স্পট। আরও রয়েছে গ্রাম বাংলার ঐতিহাসিক নানান সব স্মৃতি। সঙ্গে বিশাল লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন জাদুঘর, গোয়ালদী মসজিদ, গিয়াস উদ্দিন আযম শাহের মাজার ছাড়াও আরও অনেক ঐতিহাসিক স্থান।

ঈদের ছুটিতে জাদুঘরে হাজার হাজার মানুষের নিরাপত্তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জাদুঘরে আসার প্রবেশ পথে যানজট নিরসনে ইতোমধ্যে পুলিশ প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। কারুশিল্প ফাউন্ডেশনে প্রবেশমূল্য ১০ টাকা আর বিদেশি পর্যটকদের জন্য ১০০ টাকা।

বাংলার তাজমহল
সম্রাট শাহজাহানের বিস্ময়কর ভালোবাসার নিদর্শন আগ্রার তাজমহল। স্ত্রী মমতাজের জন্য ভালোবাসার স্মৃতি ধরে রাখতে এর তৈরি। যা বিশ্ব আশ্চর্যের অংশ। যারা ভারতের তাজমহল দেখেননি বা পর্থক্য খুঁজতে চান তারা চলে যেতে পারেন বাংলার তাজমহলে। চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব, শিল্পপতি মুক্তিযোদ্ধা আহসান উল্লাহ্ মনি তার নিজ গ্রাম নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের জামপুর ইউনিয়নের পেরাব গ্রামে প্রায় ১৮ বিঘা জমির ওপর নির্মাণ করেছেন এই তাজমহল। ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে এর উদ্বোধন হয়। এছাড়াও আশপাশে পর্যটনের জন্য প্রায় ৫২ বিঘা জমি সংরক্ষিত রয়েছে।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সোনারগাঁ মদনপুর হয়ে, বস্তল এশিয়ান হাইওয়ে থেকে প্রায় ২-৩ কিলোমিটার ভেতরে এটি অবস্থিত। অথবা সিলেট মহাসড়কে কাঁচপুর হয়ে রূপগঞ্জের বরপা দিয়েও যাওয়া যেতে পারে।
 
পানাম নগরী
বাংলার রাজধানী সোনারগাঁয়ের পানাম নগরী বীর ঈশাখাঁর সময়কালে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ছিল। রহস্য, দুর্বোধ্যতা, রোমাঞ্চ ও স্থাপত্যিক, নান্দনিক কারিশমা পানামকে করেছে অজেয়।

সরু রাস্তার দুই পাশে ৪৯টি অট্টালিকার সরাইখানা, মসজিদ, মন্দির, মঠ, ঠাকুরঘর, গোসলখানা, কূপ, নাচঘর, খাজাঞ্চিখানা, দরবার কক্ষ, গুপ্তপথ, প্রশস্ত দেয়াল, প্রমোদালয়, ট্রেজারি, অস্ত্রাগারস্থ, স্মৃতিবিজড়িত ইমারত এই নগরে রয়েছে। পানামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে পঙ্খীরাজ খাল। শের শাহ আমলে নির্মিত সোনারগাঁও থেকে সিন্ধু পর্যন্ত প্রায় ৩০০ মাইলের ঐতিহাসিক গ্র্যান্ড-ট্রাংক রোডের কিছু অস্তিত্ব পানামে আজও দৃশ্য হয়। পানাম নগর পৃথিবীর ১০০টি ধ্বংসপ্রায় ঐতিহাসিক শহরের একটি। যা দেখতে শুধু ছুটির দিনগুলোতেই নয়, সারা বছরই থাকে ভিড়।

বাংলাদেশ সময়: ০৪০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৬
আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।