ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাণিজ্যমেলা

এখনও টানে ঐতিহ্যবাহী মাটির সানকি!

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৭
এখনও টানে ঐতিহ্যবাহী মাটির সানকি! মাটির পাত্রের কদর এখনও রয়েছে/ছবি-বাংলানিউজ

ঢাকা: ‘চাহিদা কম থাকলেও বাঙালি ঐতিহ্যের প্রতি যারা আকৃষ্ট তারা কিনছেন মাটির তৈজসপত্র। যারা পোড়া মাটির লাল-কালচে সানকি, কাপ-পিরিচ, ফুলদানি সংগ্রহে রাখতে পছন্দ করেন তারাও কিনছেন।

পহেলা বৈশাখে পান্তা-ইলিশ খাওয়াই কেবল বাঙালি সংস্কৃতির অংশ নয়, চৈত্র সংক্রান্তিতে মাটির পাত্র ব্যবহারও বাঙালি সংস্কৃতির অংশ। তাই মাটির পাত্রের কদর এখনও রয়েছে।

কথাগুলো বলছিলেন বাণিজ্য মেলায় অংশ নেওয়া খ্যাপা বাবা সিরামিকের বিক্রেতা দেব কুমার পাল।

মৃৎশিল্পের পসরা সাজানো/ছবি-বাংলানিউজঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় স্টল নেওয়ার সামর্থ্য না হলেও সমবায় অধিদফতরের প্যাভিলিয়নে একটু স্থান পেয়ে মৃৎশিল্পের পসরা সাজিয়ে বসেছে খ্যাপা বাবা সিরামিক।

স্টলটিতে অন্যান্য পণ্যের তুলনায় মাটির সানকি ও প্লেটের সংখ্যা বেশি দেখা গেলো। এছাড়া সাজানো রয়েছে নকশা করা কাপ-পিরিচ, মগ, ফুলদানি কয়েল জ্বালানোর পাত্র।

দেব কুমার বলেন, মাটির সানকির চাহিদা বেশি। প্রতি পিচ ৬০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে সানকি। গ্যাসের চুল্লিতে তৈরির কারণে মস‍ৃণ আমাদের পাত্রগুলো। মাটির গুঁড়ো ওঠার কোনো ধরনের সম্ভাবনা নেই।

ঢাকার কোথাও খ্যাপা বাবা সিরামিকের দোকান নেই। তবে সামনের বৈশাখ মাস থেকে দোকান দেওয়ার ইচ্ছে রয়েছে মালিক বটোকৃষ্ণ পালের। মাটির তৈজসপত্র দেখছেন একজন ক্রেতা/ছবি-বাংলানিউজতিনি জানান, দর্শনার্থীরা মেলায় বিভিন্ন পণ্য কিনছেন, তবে অন্য পণ্যের তুলনায় কম কিনছেন। বিশেষ করে দেখতে আসছেন সবাই। কেউ কেউ এক পিসও অর্ডার দিয়ে রেখেছেন। প্রতিদিন সব মিলে গড়ে ৭ থেকে ১০ হাজার টাকা বিক্রি হচ্ছে। গত শুক্রবার ২০ হাজার টাকার বিক্রি হয়েছে।

স্টলটিতে কাপ-পিরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩০টাকা দরে। শুধু কাপ ২০ টাকা। মগ ৫০ টাকা, ফুলদানি একশো ৫০ টাকা ও কয়েল জ্বালানো পাত্র ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

যাত্রাবাড়ী থেকে মেলায় এসেছেন শফিক হায়দার। সমবায় অধিদফতরের প্যাভিলিয়নে ঢুকে মাটির তৈজসপত্র দেখে আটকে যায় তার চোখ।

শফিক হায়দার বাংলানিউজকে বলেন, মাটির জিনিস তেমন ব্যবহার করা হয় না। তবে সাজিয়ে রাখতে ভালো লাগে। এছাড়া আমি এসব ঐতিহ্যব‍াহী জিনিসের প্রতি বরাবরই আকৃষ্ট।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৭

এমসি/এএটি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।