ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বাণিজ্যমেলা

বাণিজ্যমেলায় খাবার ও গৃহসামগ্রীর প্যাভিলিয়নে ভিড় বেশি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৮
বাণিজ্যমেলায় খাবার ও গৃহসামগ্রীর প্যাভিলিয়নে ভিড় বেশি গৃহ সামগ্রীর প্যাভিলিয়নে ভিড়-ছবি-জি এম মুজিবুর

বাণিজ্যমেলা প্রাঙ্গণ থেকে: ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় দেশি-বিদেশি খাদ্যপণ্য ও গৃহ সামগ্রীর নানা স্টল ও প্যাভিলিয়ন বসেছে। বিক্রেতারা বিভিন্ন লোভনীয় অফার দিয়ে বেশি বিক্রয়ের চেষ্টা করছেন। মেলায় আগত দর্শনার্থীরা আকর্ষণীয় অফার পেয়ে ছুটছেন এসব প্যাভিলিয়নের দিকে।

বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা গেছে, খাদ্যপণ্যের মধ্যে বিস্কুটের প্যাভিলিয়ন ও স্টলে প্রচুর সংখ্যক ক্রেতা আর দর্শকের ভিড়। প্রাণ, অলিম্পিক, কোকোলা, ফু-ওয়াং, হক, নাবিস্কো, আকিজ ফুড, ইফাদ, কিষোয়ান, সজিবসহ অন্য প্যাভিলিয়ন ও স্টলে দুপুরের পর তিল ধারণের যেন ঠাঁই নেই।

বিস্কুটের প্যাভিলিয়নে ভিড়-ছবি-জি এম মুজিবুরনাবিস্কো বিস্কুটের প্যাভিলিয়ন ইনচার্জ তানজিলুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ১৯৫৩ সাল থেকে দেশের ঘরে ঘরে নাবিস্কো বিস্কুট জনপ্রিয়। তারই ধারাবাহিকতায় মেলায় আগতদের জন্য নানা অফার নিয়ে এসেছে কোম্পানি।

২০০ টাকার নাবিস্কো ইত্যাদি প্যাকেজ, ২৫০ টাকার নাবিস্কো টক-ঝাল-মিষ্টি প্যাকেজ, ৩০০ টাকায় নাবিস্কো রকমারি অফারের সঙ্গে ৪০/৫০ আইটেমের বিস্কুট রয়েছে। বেচাকেনাও ভালো বলে জানান তানজিলুর।

অলিম্পিকের সেলসম্যান হৃদয় বলেন, প্রচুর ক্রেতা আসছেন, গতবারের চেয়ে এবার বিক্রি ভালো।

কিষোয়ানের মার্কেটিং অফিসার আব্দুল জব্বার বলেন, আমাদের প্যাভলিয়নটা একটু ভেতরে, তারপরও যা বিক্রি হচ্ছে খারাপ না।

নারীরা ভিড় করছেন বিভিন্ন মসলার প্যাভিলিয়নের সামনে। ইরানি প্যাভিলিয়নের মসলার দোকানে ইরান থেকে আনা মসলা বেশ বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে গৃহ সামগ্রীর প্যাভিলিয়ন ও স্টলেও দুপুরের পরে ক্রেতা দর্শকদের ভিড় দেখা গেছে। কেউ কিনছেন, আবার কেউ দেখছেন।

গৃহ সামগ্রীর প্যাভিলিয়নে ভিড়-ছবি-জি এম মুজিবুরমৌসুমী ট্রেডার্স থেকে গৃহ সামগ্রী কিনছিলেন মিরপুর থেকে মা-স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে মেলায় আসা মো. আল আমিন। তিনি বলেন, একটু আগেই এসেছি, কেবল কেনাকাটা শুরু করলাম। কয়েকটি আইটেম কিনলাম। আরও কিনবো।

মৌসুমি ট্রেডার্সের সেলসম্যান সালাউদ্দিন বলেন, মেলায় এসব গৃহ সামগ্রীর চাহিদা সব সময়ই বেশি থাকে। তবে এবার যে পরিমাণ মানুষ আসছে, কেনাকাটা তত করছে না।

কী কী আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওভেন ২ হাজার থেকে ৩৫ হাজার, ননস্টিক আইটেম ৩৫০ থেকে ৩৫ হাজার, বাখারি সেট ৩৫০০ থেকে ৪৫ হাজারের মধ্যে দিচ্ছি আমরা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৮
এমএইচ/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।