ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বাণিজ্যমেলা

বাণিজ্যমেলায় চল্লিশ-পঞ্চাশের ছড়াছড়ি!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৮
বাণিজ্যমেলায় চল্লিশ-পঞ্চাশের ছড়াছড়ি! বাণিজ্যমেলায় চল্লিশ-পঞ্চাশের ছড়াছড়ি। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার ২৩ তম আসরের আর মাত্র সময় বাকি চারদিন। নিয়ম অনুযায়ী ৩১ জানুয়ারি মেলা শেষ হলেও ক্রেতা বিক্রেতাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে চারদিন সময় বাড়িয়েছেন মেলা কর্তৃপক্ষ।

চারদিনের বাড়তি সময় কাজে লাগাতে কোনো সুযোগই হাতছাড়া করছেন না ক্রেতা বিক্রেতারা। ক্রেতাদের আকর্ষণ করতে পণ্যভেদে ৪০-৫০ শতাংশ মূল্যছাড়ের ঘোষণা দিয়েছেন অনেক স্টল কর্তৃপক্ষ।

বাণিজ্যমেলায় চল্লিশ-পঞ্চাশের ছড়াছড়ি।  ছবি: বাংলানিউজবিক্রেতাদের দেওয়া এই মূল্যছাড় লুফে নেওয়ার জন্য ক্রেতাদেরও হিড়িক পড়েছে মেলায়।

বুধবার (৩১ জানুয়ারি) মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা এবং ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ সব তথ্য জানা যায়।

মেলা প্রাঙ্গণে সরেজমিনে দেখা যায়, গৃহস্থালি পণ্যের স্টল, কাপড়, জুতা ও সাজসজ্জার পণ্যের স্টলগুলোতে চলছে ৪০-৫০ শতাংশ মূল্যছাড়।

অন্যদিকে এই মূল্যছাড়ে সঙ্গে রয়েছে আখেরি, গোল্ডেন ও রাজকীয় অফার। এছাড়া দেশি-বিদেশি কোম্পানির বিভিন্ন পণ্যের রয়েছে মেলার শেষ সময়ের ১০-১৫ শতাংশ মূল্যছাড়।

গৃহস্থালি পণ্য, কাপড়, জুতা ও সাজসজ্জার পণ্যের স্টলগুলোতে এমন মূল্যছাড়ের অফার থাকায় ক্রেতারাও বেজায় খুশি। দলবেঁধে ক্রেতারা পণ্য কেনার জন্য ভিড় জমাচ্ছেন এসব স্টলে। নিজের প্রয়োজনীয় ও পছন্দের পণ্যটি কিনে ক্রেতারা হাসি মুখে মেলা প্রাঙ্গণ ত্যাগ করছেন। বাণিজ্যমেলায় চল্লিশ-পঞ্চাশের ছড়াছড়ি।  ছবি: বাংলানিউজবিশেষ এই মূল্যছাড়ের বিষয়ে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাসব্যাপী চলা এই মেলা থেকে তাদের টার্গেট সেলিং পূর্ণ হয়ে গেছে। ফলে বাড়তি ৪ দিনে তারা কম মুনাফায় পণ্য বিক্রি করছেন।

আবার অনেক বিক্রেতারা বলছেন, মেলার ৩১ দিন হলেও তারা তেমন একটা বেচাকেনা করতে পারেননি। তাই সময় বাড়ানোর চারদিনে ডিস্কাউন্ট দিয়ে পণ্য বিক্রির চেষ্টা করছেন।

মূল্যছাড় নিয়ে যিগো ফ্যাশনের কর্মকর্তা হাসিব বাংলানিউজকে বলেন, এবারের মেলায় আমরা ভালো কেনাবেচা করেছি। আমাদের টার্গেট সেলিং পূর্ণ হয়েছে। বাকি জুতাগুলো আর ফিরিয়ে নিতে চাচ্ছি না। তাই বাড়তি চারদিনের জন্য ৫০ শতাংশের বিশেষ মূল্যছাড়।

এ বিষয়ে রুবেল ফ্যাশনের কর্মকর্তা মিজান বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের তেমন ভালো কেনাবেচা হয়নি এবারের মেলায়। তাই শেষ সময়ে এসে বিশেষ মূল্যছাড়ে বেচাকেনা করার চেষ্টা।

তবে বেচা কেনা ভালো বা খারাপের কারণেই হোক না কেন, এমন বিশেষ মূল্যছাড় কাজে লাগিয়ে মেলার শেষ সময়ের কেনাকাটা সারছেন ক্রেতারা। এদের মধ্যে অনেক ক্রেতাই এই বিশেষ মূল্যছাড়ের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন।

এ বিষয়ে রাজধানীর শ্যামলী থেকে আগত ক্রেতা বিলকিস বেগম বাংলানিউজকে বলেন, মেলার শেষ সময়ে এমন কিছু মূল্যছাড় থাকে প্রতিবছরই। আসলে মূল্যছাড় মানে হচ্ছে স্বাভাবিক দামে এখন কেনাকাটা করা যাবে। না হলে তো প্রথম দিকে মাত্রা অতিরিক্ত দাম চান বিক্রেতারা।

এসব অফারের সঙ্গেও মেলায় চলমান রয়েছে ১টা কিনলে ১০টা ফ্রি, তিনটি থ্রি-পিস ৯০০ টাকাসহ আর নানান আখেরি অফার।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৮
এমএসি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।