ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বাণিজ্যমেলা

ছোট স্টলে ভিড়, ছাড়ের ছড়াছড়ি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০১৮
ছোট স্টলে ভিড়, ছাড়ের ছড়াছড়ি বাণিজ্যমেলার অতিরিক্ত চারদিনের প্রথমদিনে দর্শনার্থীরা/ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: বাণিজ্যমেলার অতিরিক্ত চার দিনের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি)। মেলার প্রায় সব স্টলে ছাড়ের ছড়াছড়ি। এ কারণে সকাল থেকেই ভিড় মেলা প্রাঙ্গণে। তবে শেষ মুহূর্তে প্যাভিলিয়ন নয়, টুকিটাকি জিনিসপত্র, প্রসাধনী ও খাবারের ছোট ছোট স্টলগুলোতে ভিড় বেশি। 

সকালে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার গেট দিয়ে ঢুকে দেখা যায় অনেক স্টল পুরোপুরি চালু হওয়ার আগেই দর্শনার্থী ও ক্রেতারা উপস্থিত।  

বিক্রেতাদের মতে, শেষ মুহূর্তের ছাড় ও মেলা শেষের আমেজের কারণে এতো সকাল থেকেই ক্রেতারা ভিড় জমাচ্ছেন।

বিক্রেতারা অল্প দামে অনেক বেশি পণ্য বিক্রি করতে পেরেও আনন্দিত। কারণ লাভের পরিমাণ বাড়ছেই। আবার কম দামে পছন্দসই পণ্য কিনতে পেরে খুশি মনে বাড়ি ফিরছেন ক্রেতারা।  
রাজধানীর উত্তরা থেকে আসা ঝুমা আক্তার বাংলানিউজকে জানান, বাইরের চেয়ে কম দামে জুয়েলারি সামগ্রী কিনতে পারছি। তাই অনেক কিছু কিনছি। কিন্তু বাণিজ্যমেলায় কিছু স্পেশাল পণ্য আসে, সেগুলো পাচ্ছি না। শুরুতেই হয়তো শেষ হয়ে গেছে।

বাণিজ্যমেলার অতিরিক্ত চারদিনের প্রথমদিনে দর্শনার্থীরা/ছবি: বাংলানিউজপ্রসাধনী পণ্যের স্টল হাইড ইন্টারন্যাশনালের বিক্রেতা সীমা বলেন, শেষের দিকে বিক্রি বাড়বে ও দাম কমবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আমাদের কিছু পণ্যের দাম কমানো সম্ভব হয় না। তাই আমাদের পণ্যের দামের তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি। তবে এসব পণ্য সবাই মেলার শেষের দিকে কেনে। শুরুতে ভিড় থাকে প্যাভিলিয়নে।  

মেলায় ঘুরতে ঘুরতে ক্লান্ত হয়ে পড়লে প্রয়োজন পড়ে খাওয়া-দাওয়ার। তাই ভিড় খাওয়ার স্টলে কম নয়। তাছাড়া মেলা প্রাঙ্গণে এসে না খেয়ে বেরিয়ে গেলে যেন পূর্ণতা পায় না। এমনটাই বলছিলেন যাত্রাবাড়ী থেকে আসা দর্শনার্থী ফয়সাল।

মেলার গৃহিণী ফুড প্রোডাক্টসে (৮২ নম্বর স্টল) বসে ফয়সাল বলেন, কেনাকাটা আর খাওয়া-দাওয়া একই রেওয়াজের মধ্যেই পড়ে। তাই কেনাকাটার পর খেতে মন না চাইলেও খেতে হয়। এখানকার খাবারের মানটাও ভালো। সব কিছুর দাম কমলেও খাবারের দামটা কিন্তু একই আছে।  

গৃহিণী ফুড প্রোডাক্টসের মালিক হারিজা আক্তার বলেন, আমাদের ভেজালহীন খাদ্য আর খাবারের মান ঘরে রান্না করা খাবারের স্বাদের মতো। এখানকার লভ্যাংশ যাবে গোপালগঞ্জে আমার পরিচালিত গোপালগঞ্জ বৃদ্ধাশ্রমের কল্যাণার্থে। আমি চাই বাংলাদেশের নারীরা যেন ঘরে বসে না থেকে পর্দার আড়ালে থেকেই আমার মতো এমন কাজে অংশগ্রহণ করে স্বাবলম্বী হতে পারে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১৮
এমএএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।