ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বাণিজ্যমেলা

বাণিজ্যমেলায় চলছে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২০
বাণিজ্যমেলায় চলছে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা

ঢাকা: ২৫তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার শেষ দিনে সববয়সী ক্রেতা-বিক্রেতার মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে ‘মেলা প্রাঙ্গণ’। প্রতিটি স্টলেই ছিল উপচেপড়া ভিড়। এদিন ক্রেতার চাপে হিমশিম খেতে হয় বিক্রেতাদের।

তবে শেষ দিনে অফারের পণ্যকেই বেশি গুরুত্ব দিতে দেখা যায় ক্রেতাদের। অফার ও ছাড় দেওয়া স্টলেই বেশি ভিড় ছিল আসা ক্রেতা-দর্শনার্থীদের।

 

বৃহস্পতিবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁও বাণিজ্যমেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।

মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, দুপুর ২টার পর পুরো মেলা প্রাঙ্গণ দর্শনার্থীতে ভরে উঠে। প্রতিটি স্টলেই রয়েছে তাদের আনাগোনা। ভিড় দেখা গেছে বেশি ছাড় ও অফার দেওয়া স্টলগুলোতে। ক্রেতারা দরদামের চেয়ে কেনাটাকেই গুরুত্ব দেন।

শেষ দিনে বেশি কেনাকাটা করতে দেখা গেছে পোশাক, প্লাস্টিক সামগ্রী, খাদ্য পণ্য এবং ক্রোকারিজ পণ্য স্টলে। অন্যদিকে স্টল-প্যাভিলিয়নগুলোও শেষ দিনে বেশি ছাড় দিতে থাকেন। এদিন মেয়েদের পোশাক থ্রি পিস, টু পিস, স্কার্ফ, উড়নার বিক্রি হতে দেখা গেছে অর্ধেক দামে। একইভাবে অর্ধেক দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে বিভিন্ন ধরনের ব্যাগ, খেলনা সামগ্রী।

খাদ্যপণ্যের স্টলে ছাড় আর ভালো মানের পণ্য পাওয়া সেখানেও ছিল ভিড়। চোখে পড়ার মতো ক্রেতা ছিল ছেলেদের পোশাক স্টলে। এসব স্টলে অর্ধেকের কম দামে পাওয়া যাচ্ছে ব্লেজার, কোটি, বিদেশি স্যুট। ইলেকট্রিক পণ্যের দোকানে বিশেষ ছাড় থাকায় দর্শনার্থীর ঘাটতি ছিল না সেখানেও।

মোহাম্মদপুর থেকে মেলা প্রাঙ্গণে আসা নাফিজা ইসলাম নামে এক দর্শনার্থী বাংলানিউজকে বলেন, মেলায় এর আগে কয়েকবার এসেছি, কিছু কেনাকাটা হয়েছে। তবে শেষ দিকে ছাড়-অফার থাকায় আবার এসেছি। তবে আজ শুধু পোশাক আর কিছু খাদ্যপণ্য নেওয়ার ইচ্ছা আছে।

একই কথা জানান বশির উদ্দিন নামে অপর এক দর্শনার্থী। তিনি বলেন, এবারের মেলাটা শেষ দিকে বেশি জমেছিল। তবে ভোটের কারণে বেশি আসা হয়নি। আজ কিছু পোশাক সামগ্রী কেনার ইচ্ছা আছে, যদি দরদামে মেলে তবেই।

মেলায় ছোঁয়া কালেকশনের বিক্রেতা সুমন বলেন, সব বিক্রেতাই চায় সব মালামাল বিক্রি করতে। আমাদের স্টলও একই মতে বিশ্বাসী। শেষ দিন হওয়ায় যা দাম পাবো, তাতেই মাল ছেড়ে দেবো। দাম যতই কম হোক না কেন।

এবারের মেলায় বাংলাদেশসহ ২১টি দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৪৯০টি প্যাভিলিয়ন ও স্টল ছিল। মেলায় প্রবেশের জন্য প্রাপ্ত বয়স্কদের টিকিটের মূল্য ছিল ৪০ টাকা। অপ্রাপ্ত বয়স্কদের টিকিটের মূল্য ছিল ২০ টাকা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২০
ইএআর/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।