ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

ত্রিপুরা ভোটে লড়ছেন না মানিক, ৪৬ আসনে প্রার্থী ঘোষণা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২৩
ত্রিপুরা ভোটে লড়ছেন না মানিক, ৪৬ আসনে প্রার্থী ঘোষণা সংবাদ সম্মেলন।

আগরতলা, (ত্রিপুরা): ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থী ঘোষণা করেছে ত্রিপুরা রাজ্য বামফ্রন্ট। ওই তালিকায় বাদ পড়েছেন রাজ্যের সবচেয়ে বেশি সময়ের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা এবং বর্তমান বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার।



বুধবার (২৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানী আগরতলার মেলার মাঠ এলাকার সিপিআইএম দলের ত্রিপুরা রাজ্য কমিটি অফিসে এক সংবাদ সম্মেলন করে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন ত্রিপুরা রাজ্য বামফ্রন্টের আহ্বায় নারায়ণ কর।

ক্ষমতাসীন বিজেপি দলকে পরাস্ত করার লক্ষ্যে বামফ্রন্ট এবং ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে আগে ঘোষণা দিয়েছিল যে, এবার নির্বাচনে নিজেদের মধ্যে আসন ভাগাভাগি করবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বামফ্রন্ট এদিন রাজ্যের ৬০টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ৪৬টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে। ১৩টি আসন কংগ্রেসের জন্য ছেড়ে দেয় এবং একটি আসনে নির্দল প্রার্থী দাঁড়াচ্ছেন তাকে সমর্থন করার ঘোষণা দিয়েছে বামফ্রন্ট। বামফ্রন্টের ৪৬টি আসনের মধ্যে ৪৩টি আসনে প্রার্থী দেবে জোটের অন্যতম বড় শরিক সিপিআইএম দল। সিপিআই, আরএসপি এবং ফরওয়ার্ড ব্লক একটি করে আসনে প্রার্থী দেবে।

আগরতলার রামনগর কেন্দ্রে নির্দল প্রার্থী পুরুষোত্তম রায় বর্মণকে সমর্থন করবেন বলে জানিয়েছেন ত্রিপুরা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক নারায়ণ কর।

তিনি বলেন, সিপিআইএম দলের ৪৩টি আসনের মধ্যে ২৪টি আসনে এবার নতুন মুখ এসেছে, নারী প্রার্থী রয়েছেন মোট ২ জন। বামফ্রন্টের এই প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন ত্রিপুরা রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী এবং বর্তমানে বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার, সাবেক মন্ত্রী এবং বর্তমান বিধায়ক বাদল চৌধুরী, সাবেক মন্ত্রী এবং বর্তমান বিধায়ক তপন চক্রবর্তী, কমলা সাগর কেন্দ্রের জয়ী প্রার্থী নারায়ণ চন্দ্র চৌধুরী, বিশালগড়ের জয়ী প্রার্থী ভানু লাল সাহা, বক্সনগরের জয়ী প্রার্থী শহীদ চৌধুরী, জুলাই বাড়ি এসটি কেন্দ্রের যশবীর ত্রিপুরা, ও কৈলাশহরের মবশ্বর আলী।

এ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে সিপিআইএম দলের ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী, বামফ্রন্টের জোট শরিক সিপিআই দলের ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির সম্পাদক যুধিষ্ঠির দাস এবং আরএসপি দলের ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির সম্পাদক দীপক দেব উপস্থিত ছিলেন।

প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে বামফ্রন্ট আহ্বায়ক নারায়ণ কর বলেন, ২০১৮ সালের ত্রিপুরা রাজ্যে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর গণতন্ত্র ধ্বংস হয়ে গেছে। এরপর ভোটের নামে প্রহসন হয়েছে। মানুষ এই অবস্থা থেকে মুক্তি চাইছেন। এই পরিস্থিতিতে বিজেপিকে ক্ষমতারচ্যুত করার জন্য কংগ্রেসের সঙ্গে তারা আসন ভাগাভাগি করেছেন। মানুষ চাইছেন দ্রুত এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি। সাধারণ মানুষের কথা এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। রাজ্যের সর্বস্তরের মানুষের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পাবেন এবং বিজেপিকে পরাস্ত করতে সক্ষম হবেন।

অপরদিকে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করার পর সিপিআইএম দলের ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির সম্পাদক জিতেন চৌধুরী বলেন, রাজ্যবাসী বর্তমান শাসকদলের হাত থেকে মুক্তি চাইছেন। রাজ্যবাসী হয়ে তারা বিজেপিকে পরাস্ত করতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের কাজকর্ম থেকে প্রমাণিত হচ্ছে বর্তমানে রাজ্যে কী বেহাল অবস্থা রয়েছে। নির্বাচন কমিশন রাজ্যজুড়ে জিরো পোল ভায়োলেন্স নামে ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের এই ক্যাম্পে প্রমাণ করে দেয় গত পাঁচ বছর ধরে রাজ্যে কি পরিমাণে সন্ত্রাস চলছে।

তিনি বলেন, তিপ্রামথা দলের সঙ্গে ভাগাভাগি নিয়ে দুই দিন আগেও কথা হয়েছিল তার। যদি এখনও তিপ্রামথা নেতৃত্ব আলোচনার জন্য আসে তবে আসন ভাগাভাগি করতে রাজি আছেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২৩
এসসিএন/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।