আগরতলা (ত্রিপুরা): ভারতীয় বাংলা ক্যালেন্ডার অনুসারে মঙ্গলবার (৯ মে), ২৫ বৈশাখ, ১৪৩০ বাংলা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মতিথি। সে কারণে এদিন সারা দেশজুড়ে উদযাপিত হচ্ছে তার ১৬২তম জন্মবার্ষিকী।
সরকারি এবং বেসরকারি উদ্যোগে নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হচ্ছে দিনটি।
রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সকালে অনুষ্ঠিত হয় প্রভাত ফেরী। এরপর নাচ-গান কবিতা আবৃত্তির মধ্য দিয়ে কবির প্রণাম অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
রাজ্যের মূল অনুষ্ঠানটি হয় রাজধানী আগরতলার কুঞ্জবন এলাকার রবীন্দ্র কাননে। এ অনুষ্ঠানে মূল অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. মানিক সাহা।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, রাজ্যের মুখ্য সচিব জে কে সিনহাসহ অন্যান্য অধিকারীকরা।
রাজ্য সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। রবীন্দ্র কানন পার্কের রবীন্দ্রনাথের মূর্তিতে মালা পরিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এরপর বিভিন্ন বয়সী শিল্পীরা নৃত্য, গীত ও আবৃত্তি পরিবেশন করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের সংস্কৃতির অন্যতম প্রাণপুরুষ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। চিন্তা-চেতনা, সংস্কৃতিসহ সবকিছুতেই জড়িয়ে আছেন তিনি। রাজন্য আমল থেকে ত্রিপুরার সঙ্গেও নিবিড় সম্পর্ক ছিল তার। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২তম জন্মজয়ন্তীতে রবীন্দ্রকাননে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত কবি প্রণাম অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত আমি।
সবশেষে রবীন্দ্রনাথের চিন্তাধারা নতুন প্রজন্মের মধ্যে যেন ছড়িয়ে পড়ে এ আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৩ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০২৩
এসসিএন/জেডএ