ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

গলদা চিংড়ির পোনা উৎপাদনে চাষিদের মুখে হাসি

সুদীপ চন্দ্র নাথ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৮ ঘণ্টা, জুলাই ৪, ২০২৩
গলদা চিংড়ির পোনা উৎপাদনে চাষিদের মুখে হাসি

আগরতলা, (ত্রিপুরা): সম্প্রতি ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের মৎস্য দপ্তরের গবেষকদের কৃত্তিমভাবে চৌবাচ্চার মধ্যে সামুদ্রিক নোনা পানির পরিবেশ তৈরি করে গলদা চিংড়ির চারা পোনা উৎপাদনে সাফল্য পেয়েছেন। ইতোমধ্যে ওই চারা পোনা দিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকার পুকুরে চিংড়ি চাষ করা হচ্ছে।

 

ত্রিপুরার মৎস্য চাষিদের অভিমত ওই চারা পোনা অন্যান্য মাছের তুলনায় দ্রুত বাড়ে। ফলে মাছ চাষিদের মধ্যে খুশির জোয়ার বইছে।  

পশ্চিম জেলার অন্তর্গত জিরানীয়া এলাকার মৎস্য দপ্তরের অফিসের ফিশারি অ্যাসিস্ট্যান্ট সুনীল চন্দ্র দাস বাংলানিউজকে জানান, ২০২১-২২ অর্থ বছরের জরিপ অনুসারে জিরানীয়া এলাকায় ১২৫৪ দশমিক ৪৫ হেক্টর জলাভূমি রয়েছে।  
 




‘প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনা’র ২০২৩ সালে মোট ১১০ জন মাছ চাষিদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এক হাজার ৬শ’টি করে চিংড়ি চারা পোনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি রুই ও কাতল মাছের চারা পোনা দেওয়া হয়েছে ৮শ’টি করে। একইসঙ্গে তাদের ১৪৪ কেজি খৈল, ১১২ কেজি চুন দেওয়া হয়েছে। সাধারণ পুরুষ সুবিধাভোগীদের বিনামূল্যে ১৭৫ কেজি করে মাছের পুষ্টিকর খাবার দেওয়া হয়েছে। তপশিলি জাতি, তপশিলি উপজাতি এবং নারী সুবিধাভোগীদের ৫৭৬ কেজি করে পুষ্টিকর খাবার দেওয়া হয়েছে। পুকুরগুলোতে চিংড়ি দ্রুত বাড়ছে, অল্প সময়ে এক একটি চিংড়ি সর্বোচ্চ প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০ গ্রাম ওজনের হয়েছে। তা দেখে এলাকার অন্যান্য চাষিরাও চিংড়ি চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
 




রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এ ধরনের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ায় আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন এলাকার মাছ চাষি রতন রুদ্রপাল।

তিনি বাংলানিউজকে জানান, প্রথমবারের মতো পুকুরে গলদা চিংড়ি চাষ করেছেন। কী হবে না হবে তা নিয়ে আশঙ্কায় ছিলেন। তবে এখন চিংড়ির আকার দেখে তিনি খুশি। প্রথমে তার ধারণা ছিল চিংড়ি চাষের জন্য হয়তো অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হয়।  কিন্তু এখন বুঝতে পারছেন অন্য মাছ চাষের মতো চিংড়ি চাষের জন্য বাড়তি কোনো পরিশ্রম নেই। বরং অন্য মাছের তুলনায় এগুলোর বাড়ে অনেক বেশি। বাজারে এর চাহিদা বেশি থাকায় সহজেই বিক্রি হয়ে যায়। প্রাথমিক অবস্থায় সরকারিভাবে দেওয়া চিংড়িগুলো শুধু চাষ করেছেন। দপ্তরের তরফে চিংড়ির চারা পোনার পাশাপাশি ওই চার সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছেন দপ্তরের আধিকারিকরা।
 



রাধেশ্যাম দাস নামের আরেক মাছ চাষি বলেন, প্রথমবার চাষেই ভালো সাফল্য পেয়েছি।

তিনি বলেন, সবচেয়ে যে জিনিসটি তাদের সবার নজর কেড়েছে তা হলো পাঁচ মাসের মধ্যেই এক একটি চিংড়ি সর্বোচ্চ ৩০০ গ্রাম ওজনের হয়েছে। এক কেজি চিংড়ি স্থানীয় এলাকাতেই এক হাজার রুপি দামে বিক্রি হচ্ছে। তাই আগামীতে আরও বেশি পরিমাণ চিংড়ি চাষ করার চিন্তা-ভাবনা করছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৮ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০২৩
এসসিএন/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।