ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

প্যাকেটজাত আনারস রপ্তানি শুরু করল ত্রিপুরা

সুদীপ চন্দ্র নাথ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৭ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০২৩
প্যাকেটজাত আনারস রপ্তানি শুরু করল ত্রিপুরা কারখানায় প্যাকেটজাত করা হচ্ছে আনারস।

আগরতলা, (ত্রিপুরা): কাঁচা আনারসের পাশাপাশি কেটে প্যাকেটজাত করে ত্রিপুরা থেকে ভারতের অন্যান্য রাজ্য এবং বিদেশে রপ্তানি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এর ফলে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন ত্রিপুরার চাষিরা।

 এ রাজ্যের সুস্বাদু আনারসের কথা এখন দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশে পৌঁছে গেছে। তাই মধ্যপ্রাচ্য থেকে শুরু করে ইউরোপের মানুষের রসনা তৃপ্তির অন্যতম এক উপাদান হয়ে উঠেছে ত্রিপুরার আনারস। বিশ্বে পরিচিতি দেওয়ার লক্ষ্যে রাজ্য সরকারের চেষ্টায় ত্রিপুরার আনারস জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন (জিআই) ট্যাগ পেয়েছে।

রাজ্যের চাষিরা যাতে আনারস চাষ করে আর্থিকভাবে আরও বেশি করে লাভবান হতে পারেন তার জন্য একের পর এক উদ্যোগ নিয়ে চলছে। এর ফলে গোটা আনারসের পাশাপাশি কেটে প্যাকেট জাত করে আনারস দেশ-বিদেশে রপ্তানি করার  কাজ শুরু হয়েছে।

রাজ্যের সবচেয়ে বেশি আনারস উৎপাদিত হয় ঊনকোটি জেলার কুমারঘাটের দারচৈ এলাকায়। আনারস প্রক্রিয়াজাত করে দেশ-বিদেশে রপ্তানি করার জন্য একাধিক কারখানা গড়ে উঠেছে কুমারঘাট শিল্পাঞ্চলে। এ কারখানাগুলোতে আনারস কেটে গোল ও ছোট স্লাইস পিস করে টিনের কৌটোয় ভরে বহি:রাজ্য এবং বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে।  

এমন এক আনারস প্রক্রিয়াকরণ কারখানার ম্যানেজার সৌমিত্র দে বাংলানিউজকে জানান, তাদের কারখানায় প্রতিদিন সাড়ে চার হাজার থেকে পাঁচ হাজার কৌটো আনারস তৈরি হচ্ছে। এখানে প্রায় ৫০ নারী এবং ১০ জন পুরুষ শ্রমিক প্রতিদিন কাজ করেন। তাদের কারখানায় উৎপাদিত আনারসের প্যাকেটগুলো দেশের অন্যান্য রাজ্যের পাশাপাশি বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে বলে জানান।  

ম্যানেজার সৌমিত্র দে জানান, আনারসের খোসা ছাড়া কোনো কিছু ফেলার নয়, স্লাইস তৈরির পর সেসব ছোট টুকরো থাকে, এগুলোও প্রথমে হিমায়িত করে জ্যাম জেলি তৈরির কারখানায় কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আনারসের পাশাপাশি কাঁঠাল, বাঁশকোঁড়ল, গ্রিন মটর প্যাকেটজাত করা হয়।  

ওই ম্যানেজার জানান, আগামীতে এ কারখানায় আনারসের জুসও করা হবে। এজন্য যন্ত্রপাতি আনা হয়েছে। একইভাবে কুমারঘাটের অন্যান্য কারখানাগুলোতেও এভাবে আনারস প্রক্রিয়াজাত করা হচ্ছে। এভাবে একাধিক কারখানা তৈরি হয় কুমারঘাট এলাকার চাষিরাও খুশি।

ডি ডার্লং নামে চাষি বাংলানিউজকে জানান, আনারস মৌসুমি ফল, সাধারণ মানুষ এ আনারসগুলো নির্দিষ্ট পরিমাণে গ্রহণ করে থাকেন। ফলে বাড়তি আনারস বাগানেই পচা নষ্ট হতো। আবার এমনও দেখা গেছে চাষিরা তাদের উৎপাদিত আনারস বাজারে নিয়ে গেছেন। কিন্তু পরিবহন খরচ তোলা সম্ভব হয়নি, এই অবিক্রীত হওয়া আনারসগুলো আবার গাড়ি করে নিজেদের বাড়িতে নিয়ে আসা কঠিন হয়ে পড়তো। তাই তারা বাধ্য হয়ে আনারসগুলো বাজারে ফেলে আসতে হতো।  এখন প্রক্রিয়াকরণ কারখানা হওয়ায় চাষিরা লাভবান হচ্ছে। তাই তারা খুশি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৭ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০২৩
এসসিএন/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।