আগরতলা (ত্রিপুরা): উত্তর-পূর্ব ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে এইডস রোগীর সংখ্যা বর্তমানে ভয়াবহ আকারে বাড়ছে। ত্রিপুরা স্টেট এইডস কন্ট্রোল সোসাইটির দেওয়ার তথ্য অনুসারে প্রতিমাসে রাজ্যে প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ জনের শরীরের নতুন করে এইচআইভি আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ত্রিপুরা এইডস কন্ট্রোল সোসাইটি।
এক জরিপ অনুসারে, ২০২৩ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত ত্রিপুরায় এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা মোট পাঁচ হাজার ২৬৯ জন। তাদের মধ্যে এক হাজার ২২ জন নারী, চার হাজার ২৪৬ জন পুরুষ এবং ট্রান্সজেন্ডার আছেন একজন।
সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয়, বর্তমানে ত্রিপুরা রাজ্যে ছাত্র ও যুব সমাজ দ্রুত গতিতে এই মরণব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে। বর্তমানে রাজ্যে এইচআইভি আক্রান্তের মধ্যে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৫৭৬ জন।
২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত রাজ্যটিতে এইচআইভি পরীক্ষা হয়েছে এক লাখ ১৬ হাজার ৩১৮ জনের। এই সময়ে নতুন করে মোট এক হাজার ১১১ জন এইচআইভি সংক্রমিত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। এই পরিস্থিতিতে এইচআইভি/এইডস সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো, কাউন্সেলিং ও টেস্টিং-এর জন্য রাজ্যের ২৪টি হাসপাতালে ইন্টিগ্রেটেড কাউন্সেলিং ও টেস্টিং সেন্টার, ১৩৩টি হাসপাতালে ফেসিলিটি ইন্টিগ্রেটেড কাউন্সেলিং ও টেস্টিং সেন্টার, তিনটি পিপিপি ইন্টিগ্রেটেড কাউন্সেলিং ও টেস্টিং সেন্টার এবং একটি মোবাইল ইন্টিগ্রেটেড কাউন্সেলিং ও টেস্টিং সেন্টার ভ্যান কাজ করছে।
মা থেকে শিশুকে এইডস সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে আগরতলা সরকারি মেডিকেল কলেজ ও জিবি হাসপাতালে প্রিভেনশান অব পেরেন্টস টু চাইল্ড ট্রান্সমিশন সেন্টার চালু করা হয়েছে।
এ বছর মোট পাঁচ হাজার ৯২৮ জন মহিলা যৌনকর্মী, ৮৫৩ জন সমকামী, ছয় হাজার ৪৭৩ জন পরিযায়ী শ্রমিক, তিন হাজার ৪৫০ জন ট্রাক চালক, ৯৬ জন ট্রান্সজেন্ডার এবং আট হাজার ৭৩ জন শিরাপথে মাদক ব্যবহারকারীদের কাউন্সেলিং করা হয়েছে।
২০২৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত শিরাপথে মাদক ব্যবহারকারীদের মধ্যে এইচআইভি আক্রান্ত হয়েছে দুই হাজার ৫৪৫ জন। গোটা রাজ্যে মোট পাঁচ হাজার ২৬৭ জন শিরাপথে মাদক ব্যবহারকারীকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার জন্য চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। তার মধ্যে চিকিৎসায় সুস্থ হয়েছেন ৪৩০ জন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২৩
এসসিএন/এসআইএ