ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

দক্ষিণ ত্রিপুরার সাব্রুম যেন বাংলাদেশের নোয়াখালী

মাজেদুল নয়ন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬০৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৬
দক্ষিণ ত্রিপুরার সাব্রুম যেন বাংলাদেশের নোয়াখালী শান্ত শহর সাব্রুম। লোকসংখ্যা একেবারেই কম। ছবি: মাজেদুল নয়ন

দক্ষিণ ত্রিপুরার সর্বদক্ষিণের মহকুমা সাব্রুম। ফেনী নদীর উত্তরে সাব্রুম আর দক্ষিণে খাগড়াছড়ি জেলার রামগড়। শান্ত শহর সাব্রুম। এখানে খুব বেশি ব্যস্ততা নেই। জনসংখ্যার ঘনত্বও কম।

ত্রিপুরা থেকে ফিরে: দক্ষিণ ত্রিপুরার সর্বদক্ষিণের মহকুমা সাব্রুম। ফেনী নদীর উত্তরে সাব্রুম আর দক্ষিণে খাগড়াছড়ি জেলার রামগড়।

শান্ত শহর সাব্রুম। এখানে খুব বেশি ব্যস্ততা নেই। জনসংখ্যার ঘনত্বও কম। স্থানীয়দের মতে, এই জনসংখ্যা ১০ হাজারের বেশি নয়। ফেনী নদীর এই পাড় থেকে ঢিল ছুঁড়লে বাংলাদেশে গিয়ে পড়ে।
ফেনী নদীর দক্ষিণে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের রামগড়।  ছবি: মাজেদুর নয়ন
এই শীতে কোথাও কোথাও নদী শুকিয়ে স্থলপথ হয়ে গেছে।

ত্রিপুরার হেরিটেজ পার্কে রয়েছে সাব্রুমে পৌছানোর ফলক।  ছবি: মাাজেদুল নয়নসাব্রুমের বাসিন্দারা বাংলাদেশের নোয়াখালী ভাষায় কথা বলে। এখানকার উল্লেখযোগ্য মানুষেরই আদিবাস নোয়খালী, কুমিল্লা, ফেনী অঞ্চলে। বাংলাদেশের বাড়ি নোয়াখালী হলে, সাব্রুমে আলাদা নজর পাওয়া যায়।
দু’পাশে ঘন জঙ্গলের মাঝ দিয়ে চলে গেছে আগরতলা থেকে সাব্রুমের পথ। ছবি: মাজেদুল নয়ন
সাব্রুমের মানুষের আন্তরিকতায় প্রাণ ভরে যায়। এটা বাংলাদেশের বাঙালিদের মতোই। অতিথি আপ্যায়নে তারা একসঙ্গে তিনটি মিষ্টি খেতে  দেন। আর বাড়ি নোয়াখালী পরিচয় পাওয়ার পর দোকানদার চায়ের বিল নিতে চান না।
চায়ের দোকানে নোয়খালী পরিচয় পেলে, টাকাও হয়তো দিতে হবে না।  ছবি: মাজেদুল নয়ন
রাবার গাছের ভূমি সাব্রুম। শুধু বড় বড় কোম্পানি নয়, অনেকে বাড়ির পাশের বাগানকেও রাবার গাছে ভরিয়ে তুলেছে। ছোট ছোট টিলায় রাবার বাগানের সৌন্দর্য মুগ্ধ করে। রাবার প্রক্রিয়াজাতকরণও হয় এখানে।

সাব্রুমে রাবারের প্রক্রিয়াজাতকরনে নারীদের অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্য।  ছবি: মাজেদুল নয়নবাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সাব্রুমের অবদান অপরিসীম। এখান থেকেই গঠিত উঠেছিল ১নং সেক্টর। বাংলাদেশ থেকে বাস্তুহারা মানুষ এখানে শরণার্থী হয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
এই মঞ্চে প্রতি ২১ ফেব্রুয়ারি আয়োজন করা হয় ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী অনুষ্ঠান। ছবি: মাজেদুল নয়ন
প্রতি বছরের পয়লা বৈশাখে সাব্রুম ও রামগড়ে প্রবেশ দ্বার খুলে দেওয়া হয়। দুই দেশের মানুষ নিজেদের আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুদের কাছে বেড়াতে যান পাসপোর্ট ভিসা ছাড়াই। দুই এলাকাতেই তৈরি হয় এক আনন্দঘন মুহুর্ত।
সাব্রুমের এই রাবারবাগানের স্থানেই ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় হরিণা ক্যাম্প।  ছবি: মাজেদুল নয়ন
বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৬
এমএন/পিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।