বিভিন্ন বয়সী মানুষের আগমনে মুখর ছিলো মেলা প্রাঙ্গণ। যেন তিল ধারণের ঠাঁই নেই।
রাজ্যসহ বাইরের রাজ্যের প্রকাশক ও বই বিক্রেতারা বাংলানিউজকে জানান বইয়ের বিক্রি ভালই হচ্ছে। বই দেখা, কেনাকাটার পাশাপাশি মেলায় চলছে চুটিয়ে গল্প আড্ডা আর কবিতা পাঠের আসর। মেলায় অনেক প্রকাশক তাদের স্টলের মধ্যে মাইক লাগিয়ে কবিতাসহ ছোট গল্পের আসর বসিয়েছেন। আসরে বসে কবিরা তাদের বই থেকে কবিতা পাঠ করছেন, কেউবা বলছেন গল্প, এই আসরে আবার যোগ দিচ্ছেন পাঠকরাও।
আবার আগরতলার একাধিক ব্যান্ড বইমেলা চত্বরে বসে ঘুরে গান গাইছে, বিভিন্ন স্টল থেকে এই সব দলকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে তাদের স্টলে গিয়ে গান গাইতে।
তারাও স্টলে স্টলে গিয়ে গান গেয়ে পাঠকদের মনোরঞ্জন করছেন।
এ বছর আগরতলা বইমেলায় প্রায় প্রতিটি প্রকাশক নতুন লেখকদের লেখা প্রকাশ করছে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে যা আগের বছরগুলোতে দেখা যায়নি।
বেশ কয়েকজন প্রকাশক বাংলানিউজকে জানান, এবছর তারা নতুন যতগুলো বই প্রকাশ করেছেন তার অর্ধেকের বেশি লেখকই নতুন এবং তরুণ, যাদের অনেকের বই প্রথমবার প্রকাশিত হচ্ছে। এদের বেশির ভাগই কবিতার বই বলে জানিয়েছেন প্রকাশকরা।
নতুন লেখকদের বইয়ের বিক্রির বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে বিক্রেতারা জানান, অনেকেই নতুন প্রজন্মের লেখকদের বইয়ের খোঁজ নিচ্ছেন ও কিনছেন। এদের মধ্যে কম বয়সী পাঠক যেমন রয়েছেন তেমনি রয়েছেন বয়স্ক পাঠকও।
বইমেলার একটি স্টলে কথা হল নব প্রজন্মের কবি মধুমিতা নাথ’র সঙ্গে।
বাংলানিউজের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জানান স্কুলজীবন থেকে কবিতা, ছোটগল্প ও ফিচার লিখলেও এ বছরই প্রথম ‘নিমপরী’ নামের কবিতার বই প্রকাশ করেছেন।
কবিতা নিয়ে পাঠকদের প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, ব্যক্তিগত পরিচিতির বাইরে আমি নতুন লেখক, তাই সরাসরি অপরিচিত কোনো পাঠকদের মতামত জানতে পারিনি। পরিচিত অথচ আগে তারা আমার কবিতা পড়েননি এমন অনেকের সঙ্গে মত বিনিময় হচ্ছে তারা আমায় উৎসাহিত করছেন। অনেকে বই কিনে অটোগ্রাফ চাইছেন। এটা নতুন অনুভূতি। একজন অবসর প্রাপ্ত অধ্যাপক আমার বইয়ের ইংরেজি অনুবাদের অনুমতি চেয়েছেন, এটা আমার পরম প্রাপ্তি।
একই কথা শুনালেন হারাধন বৈরাগী। ‘হাসমতি ত্রিপুরা’ নামে একটি কবিতা ও ‘খুমপুই থেকে সিকামুনকতাই’ নামে একটি গদ্যের বই প্রকাশিত হয়েছে এবছর। পাঠকরা এই দু’টি খোঁজ নিচ্ছেন বলেও জানান।
আগরতলা বইমেলার আয়োজক ত্রিপুরা সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর থেকে জানানো হয়েছে এবছর বইমেলায় এখন পর্যন্ত ৪২লাখ ৬৪হাজার ৬শ’ ৮৭ রুপি’র বই বিক্রি হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৭
এসসিএন/এএটি/আরআই