হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের জন্ম-মৃত্যু-বিবাহসহ যেকোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালনে কুশ আসন অন্যতম প্রয়োজনীয় একটি সামগ্রী। ধর্মীয় অনুষ্ঠানের পুরোহিত কুশ আসনের উপর বসে উপাচার সম্পন্ন করেন।
মূলত ত্রিপুরার খোয়াই জেলার কল্যাণপুর ব্লকের অন্তর্গত উত্তর ঘিলাতলী গ্রামের চৌমুহনী পাড়ার বেশ কিছু আদিবাসী পরিবারের মানুষ কুশ আসন তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। গ্রামটির আদিবাসী রমণী মঙ্গলপ্রভা দেববর্মা, দীপঙ্কর দেববর্মাসহ অনেকেই নিজেদের তৈরি হস্ততাঁতে বংশ পরম্পরায়ে কুশ আসন তৈরি করে আসছেন।
মঙ্গলপ্রভা দেববর্মা বাংলানিউজকে জানান, ৬ জনের পরিবারের সবাই মিলে কুশ আসন তৈরি করে দিব্যি চলছে তাদের সংসার। প্রতিদিন গড়ে ৬০/৭০টি আসন তৈরি করেন তারা সপরিবারে। ১২/১৫ মিনিটে এক একটি কুশ আসন তৈরি করতে পারেন তারা। প্রতিটি আসন ৭ থেকে ১০ রুপি পাইকারি দরে বিক্রি হয়।
১ কেজি সুতো দিয়ে প্রায় ৮০টি আসন তৈরি করা সম্ভব। ১ কেজি সুতোর দাম ১শ' রুপি। বাকিটা নিজের পরিশ্রম। নদীপাড় সহ জঙ্গলাকীর্ণ জায়গা থেকে প্রথমে কাশ পাতা কেটে এনে তা রৌদ্রে শুকাতে হয় ও পরে হস্ততাঁতে তৈরি হয় কুশ আসন।
কারিগর দীপঙ্কর দেববর্মা জানান, কল্যাণপুরের বিভিন্ন বাজারের পাশাপাশি তেলিয়ামুড়া, খোয়াইসহ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকার বাজার থেকে পাইকারের দল বাড়িতে এসে কুশ আসন কিনে নিয়ে যায়।
অন্যান্য হস্তশিল্পে সঙ্কট দেখা দিলেও কুশ আসন তৈরি করে ভালোভাবেই সংসার চালানো যাচ্ছে বলে জানান কারিগররা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৭
এসসিএন/এমজেএফ