কিন্তু আগরতলা প্রেসক্লাবের এই দাবি নস্যাৎ করে দিয়েছে ত্রিপুরা রাজ্যের মোট নয়টি সাংবাদিক সংগঠন। এই ৯টি সংগঠনের তরফে এক সংবাদ সম্মেলন করে দাবি জানানো হয় যে, আগরতলা প্রেসক্লাব মূলত শাসক বামফ্রন্টের সমর্থক, সংগঠনগুলিকে ঘুমিয়ে রেখে তাদের নাম বিক্রি করে শান্তনু হত্যার তদন্তের জন্য এসআইটি দাবি করছে।
সংবাদ সম্মেলনে রাজ্যের বয়োজৈষ্ঠ সাংবাদিক ও প্রভাতী দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক সুবল কুমার দে জানান - গত ২০ সেপ্টেম্বর ঘটনার দিন তারা প্রথমে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে এই ঘটনার তদন্তের জন্য সিবিআই দাবি করেন। এর পরই ঐদিন রাত স্থানীয় সময় ১১টায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে একই দাবি করেন, সেই সঙ্গে মৃতের পরিবারের ক্ষতিপূরণ ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তার দাবি জানান।
এখন কিছু কিছু লোক মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে যে তারা বিজেপি ও আইপিএফটি দলের সঙ্গে সামিল হয়ে সিবিআই দাবি করছেন।
তার আরো দাবি ত্রিপুরা পুলিশ আগেও বহু ঘটনায় সাংবাদিকদের নিরাপত্তা রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে ও বহু ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করতে পারেনি তাই এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সিবিআই জরুরি।
যে ৯টি সংগঠন থেকে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে এগুলো হলো ত্রিপুরা নিউজ পেপার্স ইউনিয়ন, ত্রিপুরা জার্নালিস্ট ইউনিয়ন, ত্রিপুরা ফটো জার্নালিস্ট ইউনিয়ন, ত্রিপুরা ওয়ার্কিং জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন, ত্রিপুরা ওয়েব মিডিয়া ফোরাম, ত্রিপুরা নিউজ করেসপন্ডেন্ট ফোরাম, ত্রিপুরা ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়া সোসাইটি, ত্রিপুরা ককবরক মিডিয়া ফোরাম এবং ত্রিপুরা স্পোর্ট জার্নালিস্ট ক্লাব।
এদিনের সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সাংবাদিক প্রণব সরকার, সৈয়দ সাজ্জাদ আলি, বিশ্বেন্দু ভট্টাচার্য, নবেন্দু ভট্টাচার্য, সেবক ভট্টাচার্য, অরিন্দম দে প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৭
এসসিএন/আরআই