মাধ্যমিক পরীক্ষায় একাধিকবার অনুত্তীর্ণ হয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন অচিন্ত্য। ছোটবেলা থেকে ফুলের প্রতি তার আগ্রহ ছিলো।
প্রথমে দেশি জাতের ফুল চাষ করলেও এখন দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জাতের ফুল চাষ করছেন। তার নার্সারিতে ধীরে ধীরে ফুলের চাহিদা বাড়তে থাকায় চাষের পরিমাণও বাড়িয়ে দিয়েছেন এখন।
অচিন্ত্যের নার্সারিতে গেলে দেখা যায়, গাঁদা ফুলের পাশাপাশি গোলাপ, জারবেরা, অর্কিডসহ বিভিন্ন জাতের রঙ-বেরঙের বাহারি ফুল।
অচিন্ত্য জানান, সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি মেনে আবহাওয়া তাপমাত্রা, আদ্রতা সব কিছু পর্যবেক্ষণ করে ফুল চাষ করা হয়। চারাগাছে সারসহ বালাইনাশক ব্যবহার করার কারণে ফুলের আকার ও রং যথার্থ হয়।
এখন তিনি ফুল চাষ করে শুধু স্বাবলম্বী নন, স্ত্রী, এক সন্তান নিয়ে রীতিমত স্বচ্ছল সংসার তার। তাকে ফুল চাষে সহযোগিতা করে তার স্ত্রী। তার চাষের ফুল তেলিয়ামুড়া, খোয়াই শহরের বিভিন্ন ফুলের দোকানের চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী আগরতলার বিভিন্ন দোকানেও সরবরাহ করা হয়।
অচিন্ত্য বলেন, ফুল চাষ একটি লাভজনক কাজ। বেকারত্ব দূর করতে সরকার ফুল চাষকে কাজে লাগাতে পারে। এজন্য রাজ্য সরকারের উচিৎ ফুল চাষিদের উন্নয়নের লক্ষ্যে নতুন নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করা। আগামী দিনে বেকার যুবক-যুবতীদের স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ফুল চাষ বড় ভূমিকা পালন করতে পারে বলে জানান অচিন্ত্য।
বাংলাদেশ সময়: ০৮০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৭
এসসিএন/এমসি/আরআর