ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

আগরতলায় আনা হলো বিধায়ক দিলীপ সরকারের মরদেহ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২, ২০১৯
আগরতলায় আনা হলো বিধায়ক দিলীপ সরকারের মরদেহ বিধায়ককে মরদেহে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। ছবি: বাংলানিউজ

আগরতলা (ত্রিপুরা): ত্রিপুরা রাজ্যের বাধারঘাট বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তথা সাবেক মন্ত্রী দিলীপ সরকারের মরদেহ আগরতলায় আনা হয়েছে।

সাবেক মন্ত্রী দিলীপ সরকারের মরদেহ মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) প্লেনে করে দিল্লি থেকে আগরতলায় নিয়ে আসা হয়।

আগরতলা বিমানবন্দর থেকে বিজেপি দলের কর্মী-সমর্থকরা শোক মিছিল করে দলের নেতার মরদেহ প্রথমে ত্রিপুরা বিধানসভা ভবনে নিয়ে যান।

সেখানে বিধানসভার স্পিকার রেবতী মোহন দাস, বিধান সভার চিফ হুইপ কল্যাণী রায়, মন্ত্রী সুদীপ রায় বর্মণসহ অন্যান্য মন্ত্রী বিধায়করা তাকে ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানান।

পরে বিধান সভা থেকে তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় মহারণে। সেখানে মন্ত্রী রতন লাল নাথসহ মহাকরণের অন্যান্য কর্মকর্তারা প্রয়াত বিধায়ককে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানান।

এরপর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় আগরতলার কৃষ্ণনগরের ত্রিপুরা প্রদেশ বিজেপির প্রধান কার্যালয়ে। সেখানে প্রদেশ বিজেপি সভাপতি ও ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব দলীয় পতাকা ও ফুল দিয়ে প্রয়াত বিধায়ককে শ্রদ্ধা  জানান। তখন মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে ছিলেন সাধারণ সম্পাদক প্রতিমা ভৌমিক, মহিলা মোর্চার সভানেত্রী পাপিয়া দত্তসহ অন্যান্য নেতারা। মরদেহ দলীয় কার্যালয়ে রাখা হয়েছে দলের যাতে দলের অন্যান্য কর্মী-সমর্থকসহ সাধারণ মানুষ যাতে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারেন।

পার্টি অফিস থেকে প্রায়ত বিধায়কের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে আগরতলার চারিপাড়া এলাকার নিজ বাসভবনে এবং পরিবারের সদস্যদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে। সেখানে স্থানীয় এলাকার লোকজনসহ দলের কর্মী-সমর্থকা শেষ শ্রদ্ধা জানানোর পর বাড়ির পাশেই মরদেহ সৎকার করা হবে।

বিষয়টি বাংলানিউজকে জানিয়েছেন বিজেপি মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্য।

এর আগে রোববার (৩১ মার্চ) মধ্যরাত স্থানীয় সময় ২টা ৩৭ মিনিটে দিল্লির এআইআইএমএসয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিধায়ক দিলীপ সরকার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ভাইসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের রেখে গেছেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি লিভার ও কিডনি রোগে ভুগছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০১৯
এসসিএন/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।