ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

নরেন্দ্র মোদী কৃষকদের জন্য বেশি কাজ করেছেন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২০
নরেন্দ্র মোদী কৃষকদের জন্য বেশি কাজ করেছেন কথা বলছেন এমপি প্রতিমা ভৌমিক। ছবি: বাংলানিউজ

আগরতলা (ত্রিপুরা): ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রথমবারের মত দেশজুড়ে মাটির স্বাস্থ্যসনদ চালু করেছেন। কৃষকের আয় দ্বিগুন করা জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছেন।

তিনি দেশের কৃষকদের ক্ষতি হয় এমন সিদ্ধান্ত কখনোই নিতে পারেন না, এই মন্তব্য করেন ত্রিপুরার পশ্চিম আসনের এমপি প্রতিমা ভৌমিক।   সম্প্রতি ভারত সরকার কৃষি সংক্রান্ত দুইটি বিল পাস করেছে জাতীয় সংসদ।  

বিল দুটি প্রত্যাহারের দাবিতে ভারতের দিল্লিতে লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন পাঞ্জাব হরিয়ানাসহ অন্যান্য রাজ্য থেকে আসা কৃষকরা।  ধীরে ধীরে ওই আন্দোলন দেশের অন্যান্য রাজ্যগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে শাসক বিজেপি দলের সর্বভারতীয় নেতারা প্রতিটি রাজ্যের সাংসদদের নির্দেশ জারি করেছে। তারা যেন নিজ নিজ রাজ্যে সংবাদ মাধ্যমের কাছে নতুন কৃষি বিল দুটির বিষয়ে বিস্তারিতভাবে তোলে ধরেন।

এর পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) আগরতলায় ত্রিপুরা প্রদেশ বিজেপির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন এমপি প্রতিমা ভৌমিক। সেখানে তিনি ওই মন্তব্য করেন।

তিনি আরও বলেন, ত্রিপুরার ক্ষমতায় আসার মাত্র দুই বছর হয়েছে। এর আগে রাজ্যের ক্ষমতাশীন সাবেক সরকার দীর্ঘ ৪০ বছর শাসন করেছে। তখন তারা কৃষকদের স্বার্থের কথা অনেক লোক দেখানো আন্দোলন করেছে, বিশেষ করে বামফ্রন্ট সরকারের সময়ে রাজ্যের কৃষকদের কাছ থেকে ন্যায্যমূল্যে কেন্দ্র সরকারকে ধান কেনার দাবি জানিয়ে এসেছে। এই কাজে তারা কেন্দ্র সরকারকে রাজি করাতে পারেনি। এমনকি রাজ্য সরকারও সাধারণ মানুষের কাছ থেকে এক কেজি ধান কেনেনি। অথচ বিজেপি সরকার ত্রিপুরা রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পর কৃষকদের কাছ থেকে সহায়ক মূল্যে ধান কেনা শুরু করেছে। আগামীদিনেও এই প্রক্রিয়া চলবে। এখন যারা আন্দোলন করেছেন তারা কৃষকদের বিভ্রান্ত করছেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য এসব করছে কৃষক আন্দোলনের আড়ালে। মোদী প্রধানমন্ত্রী হয় এক বাজার এক দেশ নীতি চালু করেছেন।  

ইতোমধ্যে ত্রিপুরার বর্তমান সরকার কৃষকদের কাছ থেকে ২৭ হাজার ৭৩৫ সরাসরি উপকৃত হয়েছেন। ফলে সরাসরি ৪৮ হাজার ৭১৬ মেট্টিক টন ধান ক্রয় করা হয়েছে। সবমিলিয়ে ৮৬ কোটি ৬৫ লাখ রুপি কৃষকদের দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কিষান যোজনার মাধ্যমে ২০১৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ত্রিপুরা রাজ্যের কৃষকরা ২২৯ কোটি রুপি আর্থিক সহায়তা পেয়েছেন। এই প্রকল্পে কৃষকদেরকে বছরে ছয় হাজার রুপি করে আর্থিক সহায়তা করা হয় ভারত সরকারের তরফে। ত্রিপুরা রাজ্যের মোট ২ লাখ ২২ হাজার কৃষক এই সুবিধা নিয়েছেন। তাই কৃষকরা যাতে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের চক্রান্তের ফাঁদে পা দিয়ে বিভ্রান্ত না হন এই আহবান রেখেছেন তিনি।  

এদিনের এ সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমা ভৌমিক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা রাজ্যের মুখপাত্র সুব্রত চক্রবর্তী।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২০
এসসিএন/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।