ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

সবুজ-কালোসহ ১৬০ প্রজাতির গোলাপের সমাহার প্ল্যান্ট গার্ডেনে

সুদীপ চন্দ্র নাথ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২১
সবুজ-কালোসহ ১৬০ প্রজাতির গোলাপের সমাহার প্ল্যান্ট গার্ডেনে গোলাপ ফুল। ছবি: বাংলানিউজ

আগরতলা(ত্রিপুরা): ফুল নিয়ে কথা হলে অনেকেই প্রশ্ন করেন কি কি রঙের দেখতে পাওয়া যায় না? এর সহজ উত্তর সবুজ এবং কালো রঙের ফুল হয় না। কিন্তু আগরতলার পুষ্প প্রেমী অরুনেশ দাসের বাড়িতে গেলে এই দুই রঙের গোলাপ দেখতে পাওয়া যায়।

রাজধানী আগরতলায় ৭৯টিলা এলাকার বাসিন্দা অরুণেশ দাস, পেশায় তিনি চাকুরিজীবী। মহাকরণ তার চাকুরির জায়গা। তবে তার নেশা ফুল গাছ লাগানো। ছোটবেলা থেকেই তিনি গাছপালা ভালোবাসেন। এই ভালোবাসা আরো বেড়ে যায় চাকরি পাওয়ার পর। কারণ তখন তিনি তার রোজগারের টাকায় দেশ-বিদেশের অনেক বিরল প্রজাতির ফুলের গাছ এনে বাড়িতে লাগাতে থাকেন।

গোলাপের প্রতি তার রয়েছে আলাদা ভালোবাসা। তাই তিনি ইন্ডিয়ান রোজ ফেডারেশন এবং বেঙ্গল রোজ সোসাইটির সদস্য। ভারতের যেখানেই গোলাপ ফুল নিয়ে সেমিনার আলোচনাচক্র ইত্যাদি অনুষ্ঠিত হয় সেখানে তিনি ছুটে যান অংশ নিতে। পাশাপাশি নিয়ে আসেন দেশ-বিদেশে নানা প্রজাতির গোলাপ গাছ।

তার সংগ্রহে বর্তমানে ১৬০প্রজাতির বেশি গোলাপ গাছ রয়েছে। এই শীতের মৌসুমী প্রায় ১৪০প্রজাতির গোলাপ ফুল ইতোমধ্যে ফুটে গেছে। আরো বেশ কয়েকটি প্রজাতির গাছে গোলাপ ফুল ফোটার বাকি রয়েছে। আরো এক মাস পর্যন্ত এই গাছগুলোতে ফুল ফুটবে বলেও জানান তিনি। এমন কিছু প্রজাতির গোলাপ ফুলের গাছ তার বাগানে রয়েছে যেগুলো সচরাচর দেখা যায় না।

বাড়িতে এখন দেশি-বিদেশি গোলাপ হাসছে। এক ফুল থেকে অন্য ফুলে গুন গুন উড়ে উড়ে মধু সংগ্রহ করছে মৌমাছির দল। এ এক মনোরম নৈসর্গিক দৃশ্য। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সবুজ রঙের গোলাপ এবং কালচে রঙের গোলাপ, প্রিন্সেস ডি মোনাকো, ক্রিমসন গ্লোরি, প্যারাডাইস, ওকলাহোমা, লাভ, ডাবল ডিলাইট, আইসবার্গ, প্রেসিডেন্ট প্রণব, ক্যাশকাটা ৩০০, স্যুটিং স্টার, আইজ ফর ইউ, ফ্র্যাগনেন্ট প্লাম, হ্যানি ডিজন ইত্যাদি। অফিসের শত ব্যস্ততার মাঝেও তিনি নিজ হাতে ফুল গাছের যত্ন নেন।

তার এই বাগানবাড়ির কথা এখন শুধু আগরতলা নয়, এ রাজ্যের বহু মানুষ জানেন। গুগোল এ গিয়ে প্ল্যান্ট গার্ডেন আগরতলা দিয়ে সার্চ করলেই প্রথমে তার বাড়ির লোকেশন চলে আসে। এই সূত্র ধরে বহু লোক বাগান দেখতে আসেন বাড়িতে। প্রতিদিন বহু লোক তার বাড়িতে গোলাপ ফুল দেখতে ছুটে আসেন। বাড়িতে ঢোকার মুখে মূল গেটের সামনে বাসরলতা ফুল সবাইকে স্বাগত জানায়। সুরঞ্জনা দে, সুবীর ভট্টাচার্য্যসহ মোট ৪জনের একটি দলের সঙ্গে কথা হয় তার বাড়িতে। তারা জানান মূলত গোলাপ ফুল দেখতে এসেছেন। নানা ধরনের ফুল গাছ লাগাতে তারা পছন্দ করেন তা থেকেই অরুনেশ দাসের সঙ্গে তাদের পরিচয়। এখন নিয়মিত আসা-যাওয়া করেন।

অরুনেশ দাসের বাড়িতে শুধু গোলাপ গাছই নয়। রয়েছে আরো নানা প্রজাতির ফুল ও ফলের গাছ। এক কথায় ৬ঋতুতেই তার বাড়ি ভরে থাকে নানা রঙের ফুলে ফলে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২১
এসসিএন/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।