ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

ত্রিপুরায় বাণিজ্যিকভাবে স্ট্রবেরি চাষ সম্ভব

সুদীপ চন্দ্র নাথ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২২
ত্রিপুরায় বাণিজ্যিকভাবে স্ট্রবেরি চাষ সম্ভব স্ট্রবেরি। ছবি: বাংলান্ু

আগরতলা, (ত্রিপুরা): স্ট্রবেরি মূলত হালকা শীত প্রধান অঞ্চলের ফল হলেও উষ্ণমণ্ডলীয় অঞ্চলে চাষের যোগী জাত উদ্ভাবিত হওয়ায় দক্ষিণ, পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে। এখন বাজারে স্ট্রবেরির চাহিদা বাড়ায় ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বাণিজ্যিকভাবে এর চাষ হচ্ছে।

ত্রিপুরা রাজ্যেও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এর চাহিদা, তাই মানুষের মধ্যে মৌসুমি এই ফল চাষের প্রতি আগ্রহ তৈরি হচ্ছে। রাজ্যের শৌখিন বাগানিরা বাড়িতে টবের মধ্যে এক-দুইটি স্ট্রবেরি চাষ করলেও বাস্তবে ত্রিপুরার মাটিতে বাণিজ্যিকভাবে আদৌ এর চাষ সম্ভব কিনা তা খতিয়ে দেখতে উদ্যোগ নিয়েছে ত্রিপুরা সরকারের কৃষি এবং কৃষক কল্যাণ দপ্তরের অন্তর্গত উদ্যান এবং মৃত্তিকা সংরক্ষণ বিভাগ। গত তিন বছর ধরে এই বিভাগ রাজধানীর পার্শ্ববর্তী নাগিছড়া এলাকার উদ্যান ফল গবেষণাকেন্দ্রে পরীক্ষামূলকভাবে এর চাষ করে যাচ্ছে। এবছরও একটি প্লটে চাষ করা হয়েছে স্ট্রবেরি। কৃষি আধিকারিক সুব্রত চৌধুরী বাংলানিউজকে জানান, এবছর তিন কাটা জমিতে স্ট্রবেরি চাষ করা হয়েছে। এই পরিমাণ জমিতে ১২টি বেড তৈরি করে মোট ৭শ ২০টি চারা লাগানো হয়েছে। একটি গাছ থেকে আর একটি গাছের দূরত্ব রাখা হয়েছে ৪৫ সেন্টিমিটার। গত ১৪ নভেম্বর গাছগুলি লাগানো হয়েছে এবং প্রায় ৪৫ দিন পর গাছ থেকে ফল সংগ্রহ করা হয়েছে। এবার মোট তিন জাতের স্ট্রবেরি চাষ করা হয়েছে, এগুলো- সুইট সেনসেশন, ফ্লোরিডা বিউটি এবং উইন্টার ডন। এই গাছগুলি থেকে দুই মাসের বেশি সময় ধরে ফলন পাওয়া যায়। এক-দুই দিন পর পর গাছ থেকে ফল সংগ্রহ করা হচ্ছে। এক মৌসুমে একটি গাছ ২০০ থেকে ২৫০ গ্রাম বা তার কিছু বেশি ফল দেবে বলে প্রাথমিক ধরণা। যা একটি গাছের স্বাভাবিক উৎপাদন ক্ষমতা। এই পরীক্ষামূলক চাষ থেকে তারা নিশ্চিত যে রাজ্যের মাটি স্ট্রবেরি চাষের উপযোগী। শীতকালে এখানে বাণিজ্যিকভাবে এর চাষ সম্ভব। ফলে আগামীতে তারা চাষিদের প্রয়োজনে এই ফল চাষের প্রশিক্ষণ দেবেন। তবে, সারা বছর তাদের এখানে কৃষক থেকে শুরু করে প্রশিক্ষণার্থীরা আসেন। এই মৌসুমে যারা আসছেন তারাও দেখে যাচ্ছেন স্ট্রবেরি চাষ, সেসঙ্গে প্রয়োজনীয় তথ্য লিখে নিচ্ছেন বলে জানান সুব্রত চৌধুরী।

এই গাছগুলি থেকে শুধুমাত্র ফলই পাওয়া যাচ্ছে এমনটাই নয়। ফলের গাছগুলি থেকে নতুন চারা গাছ তৈরি হয়, যা বিক্রি করে চাষিরা বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হতে পারবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২২
এসসিএন/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।