ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

আগরতলায় অনুষ্ঠিত হলো ঐতিহ্যবাহী চড়ক পূজা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০২২
আগরতলায় অনুষ্ঠিত হলো ঐতিহ্যবাহী চড়ক পূজা

আগরতলা (ত্রিপুরা): ৩০ চৈত্র ১৪২৮। বাংলা বছরের শেষদিন।

ঋতুরাজ বসন্তেরও বিদায়ের দিন। বাংলা বছরের শেষ দিন হওয়ায় চৈত্র মাসের শেষ দিনটিকে বলা হয় চৈত্র সংক্রান্তি। চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে আগরতলায় অনুষ্ঠিত হলো চড়ক উৎসব।  

ভারতীয় বাংলা ক্যালেন্ডার অনুসারে বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) ৩০ চৈত্র ১৪২৮ বাংলা। এদিনকে চৈত্র সংক্রান্তি হিসেবে পালন করে থাকেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা।  বছরের শেষ দিনে চড়ক পূজার আয়োজন করা হয়ে থাকে।  প্রতিবছরের মতো এবছরও আগরতলা প্রতাপগড় এলাকায় এদিন বিকেলে চড়ক পূজার আয়োজন করা হয়।  

এ পূজা উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পৌর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, ডেপুটি মেয়র মনিকা দাস দত্ত প্রমুখ। এবছর প্রতাপগড়ের চড়ক পূজার ৬৭তম বছরে পদার্পণ করেছে। পাশাপাশি ব্রম্মা এবং শীতলা পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
 
চড়ক পূজা মূলত শিব ঠাকুরের পূজা, একে শিবের গাজনও বলা হয়ে থাকে। এ পূজায় অংশগ্রহণকারীরা চৈত্র মাস বাড়ির বাইরে শিব মন্দিরে অবস্থান করেন। এ সময় তারা লাল কাপড় পরে সন্ন্যাসীর মতো বিশেষ ভাবে জীবনযাপন করেন। তাদের ভক্ত বলা হয়ে থাকে। তারা শিব এবং গৌরী সাজিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে গাজনের গান গায়। মানুষ চাল-সবজি অথবা আর্থিকভাবে যতোটুকু সহায়তা দিয়ে থাকেন তা দিয়ে ভক্তরা নিজেদের খাবার খান এবং বাকিটা সঞ্চয় করে রাখেন। এই সহায়তা দিয়ে বছরের শেষ দিন অথবা পরে চড়ক পূজার আয়োজন করা হয়।  

চড়ক পূজার বিশেষত্ব হলো খালি পায়ে ভক্তরা আগুনের মধ্য দিয়ে হাঁটা-চলা করেন, পিঠে বিশাল আকারের বরশি গেথে চড়ক গাছে ঝুলে থাকেন।  এসব দেখতে প্রচুর সংখ্যক লোক ভিড় জমান। এবছরও প্রতাপগড় স্কুল মাঠে আয়োজিত এই পূজায় তার ব্যতিক্রম হয়নি। তবে চিরাচরিত এই পূজা দিন দিন কমে আসছে। আগে যেখানে প্রচুর সংখ্যায় চড়ক পূজার আয়োজন করা হতো এখন তা একেবারে কমে এসেছে।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০২২
এসসিএন/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।