নওগাঁ: নওগাঁর রানীনগর, সাপাহার ও পোরশা উপজেলায় তিনজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সকালে রানীনগর উপজেলার পারইল গ্রাম থেকে এক যুবকের, সাপাহার উপজেলার পিছলডাঙ্গা (মলপাড়া) গ্রামের খাল থেকে এক বৃদ্ধের এবং পোরশার আম বাগান থেকে এক মাদরাসাছাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়।
মৃতরা হলেন-রানীনগর উপজেলার পারইল গ্রামের মোখলেছার রহমানের ছেলে মেহেদী (২৯), সাপাহার উপজেলার সদর ইউনিয়নের পিছলডাঙ্গা গ্রামের নুরুল ইসলাম (৭৩) ও পোরশা উপজেলার ছাওর ইউনিয়নের চক্করতলী গ্রামের আশরাফুলের মেয়ে সুমাইয়া (৯)।
নিহত মেহেদীর দুলাভাই কামাল হোসেন বলেন, কিছুদিন ধরে মেহেদী ও তার স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল। বুধবার মেহেদীর স্ত্রী ঝগড়া করে বাবার বাড়িতে চলে গেলে রাতের খাবার খেয়ে পরিবারের অন্যদের সঙ্গে মেহেদীও তার রুমে ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে বাড়ির পাশের একটি পুকুরপাড়ের আম গাছে গলায় রশি দেওয়া অবস্থায় তার লাশ দেখতে পান এলাকাবাসী।
রানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) বাবলু বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে নওগাঁর সাপাহারে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হওয়ার ২৪ ঘণ্টা পর খাল থেকে নুরুল ইসলাম নামে এক বৃদ্ধের হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বুধবার ফজরের নামাজ পড়তে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি নুরুল ইসলাম। সারাদিন বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে বৃহস্পতিবার ভোরে স্থানীয়রা গ্রামের দক্ষিণ দিকে প্রায় এক কিলোমিটার দূর দিয়ে বয়ে যাওয়া খালের পানিতে তার লাশ ভাসতে দেখে স্বজনদের ও পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
সাপাহার থানার ওসি আব্দুল আজিজ বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, কেউ হাত-পা বেঁধে বৃদ্ধকে হত্যা করে লাশ পানিতে ভাসিয়ে দিয়েছে।
অন্যদিকে পোরশা থানার ওসি মিন্টু রহমান বলেন, আম বাগানে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় সুমাইয়া নামে এক মাদরাসাছাত্রীর লাশ পাওয়া গেছে। রাজশাহী থেকে সিআইডি ও পিবিআই এসেছে। বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এসআই