ঢাকা, সোমবার, ২৭ আশ্বিন ১৪৩২, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২০ রবিউস সানি ১৪৪৭

সারাদেশ

এনসিপির প্রোগ্রামে বিদ্যুৎ বিভ্রাট, ক্ষোভ ঝাড়লেন সারজিস আলম

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২:৪৩, অক্টোবর ১২, ২০২৫
এনসিপির প্রোগ্রামে বিদ্যুৎ বিভ্রাট, ক্ষোভ ঝাড়লেন সারজিস আলম সারজিস আলম

পঞ্চগড়: প্রোগ্রাম চলাকালে বিদ্যুতের লোডশেডিং হওয়ায় নেসকোর দায়িত্বশীলদের কলিজা ছেঁড়ার হুমকি দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।  

তিনি বলেন, এই রাজনৈতিক দেউলিয়াদের আমরা দেখে নেবো, তাদের কলিজা কত বড়? কলিজা ছিঁড়ে রাস্তায় ফেলে রাখবো।

 

এর আগেও পঞ্চগড়ে এনসিপির প্রোগ্রাম চলাকালে বিদ্যুৎ গেছে। নেসকোর যে মালিক তাকে এবং তার বাপকে জবাব দিতে হবে, প্রোগ্রাম চলাকালে, এটা হয় কেন? একদিন হইতো, দুইদিন হইতো কিচ্ছু বলতাম না, তিনদিনের তিনদিনই এটা হইছে। এ রাজনৈতিক দেউলিয়াদের আমরা দেখে নেবো, তাদের কলিজা কত বড়? কলিজা ছিঁড়ে রাস্তায় ফেলে রাখবো।  

চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব, সিন্ডিকেট ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে দীর্ঘ ১৬০ কিলোমিটার লংমার্চ শেষে শনিবার (১১ অক্টোবর) রাতে পঞ্চগড়ে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন সারজিস।  

এসময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।  

অভিযোগ করেন, এটি পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে এবং এ ঘটনার পেছনে বিদ্যুৎ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠান নেসকোর রাজনৈতিক পক্ষপাত রয়েছে।

সারজিস আলম বলেন, এটা প্রথম না। আমাদের এনসিপির তিনটি বড় কর্মসূচিতে একইভাবে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এটি নিছক কোনো দুর্ঘটনা নয়, এটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অংশ। নেসকোর মালিক এবং তার বাবাকে জনগণের সামনে জবাবদিহি করতে হবে। আমরা আর ছাড় দেব না। এখন থেকে যারা রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব করবে, পঞ্চগড়ে তাদের জায়গা থাকবে না।

এসময় তিনি সেনাবাহিনীর কিছু সদস্যের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার আমলে গুম, খুন, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং আয়নাঘরের নামে পরিচিত নির্যাতন কক্ষের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগও তোলেন।

সারজিস বলেন, আমরা সেনাবাহিনীকে শ্রদ্ধা করি, কিন্তু কিছু জেনারেল ও অফিসার শেখ হাসিনার অপরাধের সহযোগী ছিলেন। তাদের বিচার না হলে সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি কলুষিত হবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর এরই মধ্যে দৃঢ় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, ডিসেম্বরের মধ্যেই শেখ হাসিনার বিচার কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন। আমরা তার পেশাদারিত্বে আস্থা রাখি।

একই সঙ্গে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব দিয়ে সারজিস আলম বলেন, জুলাই সনদে স্বাক্ষরের তারিখ এক-দু’দিন আগানো-পেছানো বড় কথা নয়, বড় কথা হলো এর আইনি ভিত্তি ও বাস্তবায়ন। এটা জনগণের সনদ।  

রাজনৈতিক দল হিসেবে আমরা যেমন এর বাস্তবায়ন চাই, তেমনি ঐকমত্য কমিশনকেও এটা নিশ্চিত করে দায়িত্ব শেষ করতে হবে। অন্যথায়, জনগণকে প্রতারণা করা হবে, যোগ করেন সারজিস।

এর আগে লংমার্চের শুরুতে তেঁতুলিয়ার অনুষ্ঠিত পথসভায় সারজিস আলম বলেন, চাঁদাবাজ, দখলদার, সিন্ডিকেটকারী ও দুর্নীতিবাজদের আর ছাড় নেই। এদের হাত ভেঙে দিতে হবে। জনগণের রক্তচোষা এসব দানবদের বিরুদ্ধে জনগণকেই রুখে দাঁড়াতে হবে।

লংমার্চে অংশ নেন পঞ্চগড় জেলা এনসিপি ও জাতীয় যুবশক্তির কয়েকশ নেতাকর্মী। পাঁচ শতাধিক মোটরসাইকেলের বিশাল বহরে উত্তরের রাজপথ ছিল সরব ও স্লোগানে মুখর।

এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।