ইলেকট্রনিক স্কোরবোর্ড নিয়ে বাংলাদেশ সাঁতার ফেডারেশনের আক্ষেপ আর দূর হলো না। আগামী শনিবার থেকে মিরপুর সৈয়দ নজরুল ইসলাম সুইমিং কমপ্লেক্সে শুরু হচ্ছে ম্যাক্স গ্রুপ ৩৩তম জাতীয় সাঁতার প্রতিযোগিতা।
২০১৯ সালে মিরপুরের এই সুইমিং কমপ্লেক্সে ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি ইলেকট্রনিক স্কোরবোর্ড বসানো হলেও প্রতি বছরই সাঁতারুদের অনুশীলন ও ঘরোয়া প্রতিযোগিতা চলে হ্যান্ডটাইমিংয়ে। ২০১৯ সালে সেরা সাঁতারুর খোঁজে মিরপুর সৈয়দ নজরুল ইসলাম সুইমিংপুল সংস্কারের উদ্যোগ নেয় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। এরই অংশ হিসেবে পুরোনো স্কোরবোর্ড সরিয়ে বসানো হয় ডাকট্রোনিকস কোম্পানির নতুন স্কোরবোর্ড। কিন্তু পাঁচ কোটি টাকার স্কোরবোর্ড পড়ে আছে শ্বেতহস্তির মতোই।
বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ) মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে সংবাদ সম্মেলনে। সেখানে ঘুরে ফিরে উঠে এসেছে হ্যান্ডটাইমিংয়ের প্রসঙ্গ।
৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে দেশে নেই বাংলাদেশ সাঁতার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোল্লা বদরুল সাইফ। ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সংবাদ সম্মেলনে এ প্রসঙ্গে কথা বলেন মোহাম্মদ সেলিম মিয়া, ‘আমরা যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার সঙ্গে এসব বিষয়ে কথা বলেছি। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিবকে আমাদের ইলেকট্রনিকস স্কোরবোর্ডের বিষয়ে চিঠি দিয়েছি। আপাতত এটা সমাধানের কোনো সম্ভাবনা নেই। তাই আমাদের এবারও হ্যান্ডটাইমিংয়ে সাঁতার আয়োজন করতে হচ্ছে। ’
এবারের জাতীয় সাঁতারে বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা, জেলা ক্রীড়া সংস্থা, সুইমিং ক্লাব, বিকেএসপি, সেনাবাহিনী, নৌ বাহিনী, বিমান বাহিনী, পুলিশ ও আনসারসহ ৫২ দলের ৫৫০ জন সাঁতারু অংশ নেবেন।
পুরুষ ও মেয়েদের ৩৮টি ইভেন্টে অংশ নেবে সাঁতারুরা। এছাড়া পুরুষ বিভাগে ডাইভিংয়ে ৩টি ও ওয়াটারপোলোর ১টি ইভেন্ট রয়েছে। এবারের জাতীয় সাঁতারের পৃষ্ঠপোষকতা করছে ম্যাক্স গ্রুপ। প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করবেন ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোহাম্মদ আলমগীর।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের সহ-সভাপতি আবদুল হামিদ ও পৃষ্ঠপোষক গ্রুপের কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিল পলাশ।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ৭, ২০২৪
এআর/এএইচএস