নিউইয়র্কের আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামে রোববার অনুষ্ঠিত ইউএস ওপেন পুরুষদের ফাইনালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপস্থিতি ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তা জটিলতা দেখা দেয়।
বার্তাসংস্থা ‘রয়টার্স’ জানিয়েছে, অতিরিক্ত তল্লাশি ও ধীর গতির প্রবেশ প্রক্রিয়ার কারণে ম্যাচ শুরু হতে প্রায় আধা ঘণ্টা দেরি হয়।
২৪ হাজার আসনসংখ্যার বিশ্বের বৃহত্তম টেনিস ভেন্যুতে দুপুর ২টায় ম্যাচ শুরুর কথা থাকলেও শুরু হয় প্রায় ২টা ৩০ মিনিটে। ইউএস টেনিস অ্যাসোসিয়েশন (ইউএসটিএ) আগেই দর্শকদের আগে আসতে ও গণপরিবহন ব্যবহার করতে অনুরোধ করেছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও প্রবেশে সমস্যা হয়।
অনেক দর্শক এক ঘণ্টারও বেশি লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। নিউইয়র্কের কেভিন নামের এক দর্শক বলেন, ‘এক ঘণ্টা ১৫ মিনিট দাঁড়িয়েও ঢুকতে পারিনি। এটা পুরোপুরি ট্রাম্পের কারণে। খুবই স্বার্থপর আচরণ। ’
অন্যদিকে, নিউইয়র্কের মেরিবেথ লোডেস জানান, ৩৫০ ডলারের টিকিট কিনেও দেড় ঘণ্টার বেশি লাইনে কাটিয়েছেন। তার ক্ষোভ, ‘এটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। ’
স্টেডিয়ামের বড় পর্দায় ট্রাম্পকে দেখানো হলে দর্শকরা মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানান—কেউ হাততালি দেন, কেউ আবার দুয়ো দিতে থাকেন। তবে কিছু দর্শক ট্রাম্পের পক্ষে মত দেন। মিশিগান থেকে আসা অবসরপ্রাপ্ত টেনিসপ্রেমী কারেন স্টার্ক বলেন, ‘তিনি চাইলে অবশ্যই খেলা দেখতে আসতে পারেন। ’
খেলা শেষে ওয়াশিংটনে ফিরে ট্রাম্প সাংবাদিকদের জানান, তিনি পরিবেশ উপভোগ করেছেন। ‘দর্শকরা ভদ্র আচরণ করেছেন। আমি জানতাম না কী আশা করব, তবে অভিজ্ঞতা ভালো ছিল,’ বলেন তিনি। পাশাপাশি আলকারাজ ও সিনারের প্রতিভারও প্রশংসা করেন ট্রাম্প।
প্রবেশের ঝামেলা সত্ত্বেও ধীরে ধীরে দর্শকরা আসন পূর্ণ করেন। শেষ পর্যন্ত কার্লোস আলকারাজ চতুর্থ সেটে জয়ী হয়ে শিরোপা জিতে নেন।
ট্রাম্প এর আগে সুপার বোল ও ইউএফসি’র মতো বড় ক্রীড়া আসরেও গিয়েছেন। সেখানে যেমন করতালির মুখোমুখি হয়েছেন, তেমনি সমালোচনাও শুনেছেন। ডেমোক্র্যাট-ঘেঁষা নিউইয়র্কে তার আগমন এবারও একই ধরনের বিতর্ক তৈরি করেছে।
এমএইচএম