দক্ষিণ এশীয় গেমসের স্বর্ণজয়ী ভারোত্তোলক মাবিয়া আক্তার সীমান্ত যেন প্রতিবারই নিজেকেই চ্যালেঞ্জ করছেন। জাতীয় মঞ্চেও তিনি এখন রেকর্ডের শীর্ষে।
৬৯ কেজি ওজন শ্রেণিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে মাবিয়া তুলেছেন মোট ২১০ কেজি—ক্লিন অ্যান্ড জার্কে ১১৮ কেজি এবং স্ন্যাচে ৯২ কেজি। এই সংখ্যাটিই এখন দেশের নারী ভারোত্তোলনের নতুন রেকর্ড। এর মাধ্যমে তিনি অর্জন করেছেন সেরা নারী ভারোত্তোলকের খেতাবও।
অর্জন নিয়ে উচ্ছ্বসিত মাবিয়া বলেন, ‘আজ যে ভার তুলেছি, এটি আমার ক্যারিয়ার সেরা এবং বাংলাদেশেরও সেরা। আগের রেকর্ডে আমি ১১৬ কেজি (ক্লিন অ্যান্ড জার্ক) ও ৮৯ কেজি (স্ন্যাচ) তুলেছিলাম। আজ সব মিলিয়ে পাঁচ কেজি বেশি তুলতে পেরেছি। ’
নারী ভারোত্তোলনে প্রতিদ্বন্দ্বীর অভাব মাবিয়াকে যেন আরও উঁচুতে পৌঁছে দিচ্ছে। তিনি যোগ করেন, ‘আমি প্রতিনিয়তই নিজেকে ছাড়িয়ে যেতে চাই। এমন রেকর্ড গড়তে চাই, যেন অনেকদিন মানুষ আমাকে মনে রাখে। ’
এ বছরই জাতীয় দলের আরেক ভারোত্তোলক প্রান্তকে বিয়ে করেছেন মাবিয়া। তবে নতুন অধ্যায় যেন খেলায় বাধা হয়ে আসেনি, বরং শক্তি জুগিয়েছে। তার ভাষায়, ‘আমার স্বামীও একজন ভারোত্তোলক। তার ও পরিবারের সমর্থনই আমাকে এগিয়ে নিচ্ছে। এজন্য রেকর্ডগুলো আসছে একের পর এক। ’
অন্যদিকে পুরুষ ভারোত্তোলনে এখনও টিকে আছে দুই যুগ আগের রেকর্ড। সাবেক ভারোত্তোলক বিদ্যুৎ স্মৃতিচারণ করে বলেন, তিনি একসময় ৮০ কেজি শ্রেণিতে ২৯৭.৫ কেজি (স্ন্যাচ ১৭০, ক্লিন অ্যান্ড জার্ক ১২৭.৫) তুলেছিলেন। যদিও সেই শ্রেণি এখন আর নেই, তবে তার তোলা ওজন এখনও অদ্বিতীয়।
এআর/এমএইচএম