ঢাকা: হিমালয় কন্যা নেপাল জয় শেষে দেশে ফিরলো বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৪ নারী ফুটবল। রোববার (২০ ডিসেম্বর) নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর আর্মি ফিজিক্যাল ট্রেনিং মাঠে স্বাগতিক নেপালের মেয়েদের ১-০ গোলে হারিয়ে এই গৌরবের জয় পায় বাংলাদেশের তরুনীরা।
সেমি-ফাইনালে ইরানের মেয়েদের ২-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠে বাংলাদেশ। তবে ফাইনালের দিনই শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঠমান্ডুসহ নেপালে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় তা পিছিয়ে যায়। আট মাস পরে হওয়া ফাইনালে জয় নিয়েই ফেরে বাংলাদেশের মেয়েরা।
শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে নেপালের মাটিতে নেপালকে হারানোর দিন রোববার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে লাল-সবুজের দলটি। অবতরণের পর বিজয়ী দলকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের দলটির কোচ গোলাম রব্বানি ছোটন জানান, ‘নেপালের মাটিতে স্বাগতিক হিসেবে খেলা দলটিকে হারাতে পেরে আমি খুশি। তারা বেশ শক্তিশালী দল। তবে, আমার মেয়েদের প্রস্তুতি দেখেই আমি আশাবাদী ছিলাম। প্রথমবারের মতো এএফসি অনূর্ধ্ব-১৪ আঞ্চলিক প্রতিযোগিতার নতুন চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় আমি বেশ গর্বিত। সেখানে বেশ ঠান্ডা ছিল। কিন্তু আমার ছাত্রীরা সেই প্রতিকূল পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে জয় নিয়ে ফিরেছে। ’
দলের হয়ে জয়সূচক একমাত্র গোলটি করেছে ময়মনসিংহের কলসিন্দুর গ্রামের মেয়ে মারিয়া। তার গোলেই বড় কোনো টুর্নামেন্টে এটাই বাংলাদেশের মেয়েদের প্রথম শিরোপা জয়। অল্প বয়সী মারিয়া গুছিয়ে বলতে না পারলেও তার ভাষ্য ছিল, ‘কোচ আমাকে বারবার বলেছেন সুযোগ পেলেই কাজে লাগাবে। তিনি আমাকে ম্যাচের আগেই বলে দিয়েছেন, নেপালের গোলবারে শট নিতে। আমি সে সুযোগ পেয়ে তা কাজে লাগিয়েছি। ভালো লাগছে আমার গোলে বাংলাদেশ জিতেছে। আমি গর্বিত দেশের জন্য কিছু করতে পেরে। ’
এর আগে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বাংলাদেশের হাতে শিরোপা তুলে দেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী খাগড়া প্রসাদ শর্মা অলি।
গেল ১৮ ডিসেম্বর এএফসি অনুর্ধ্ব-১৪ ফাইনাল খেলতে নেপালের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়ে ২৩ সদস্য বিশিষ্ট অনূর্ধ্ব-১৪ নারী ফুটবল দল। ফাইনালে মাঠে নামে শামসুন্নাহার, রুমা, নার্গিস, শিউলি, সানজীদা, মৌসুমী, কৃষ্ণা (অধিনায়ক), মার্জিয়া, স্বপ্না, মারিয়া, তাসলিমা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, ২০ ডিসেম্বর ২০১৫
এইচএল/এমআর