তিনি আরও বলেন, শিক্ষাকে বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করতে হবে। শিক্ষা ব্যবস্থাপনা ও কোর্স-কারিকুলামে চাই যুগোপযুগী সিদ্ধান্ত।
সোমবার সকালে নগরের জামাল খানের সিআইইউ ক্যাম্পাসে ২০১৯ সালের অটাম সেমিস্টারের ওপেন ডে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে উপাচার্য ড. মাহফুজুল হক চৌধুরী আরও বলেন, সিআইইউ পড়ালেখার পাশাপাশি গবেষণামূলক কার্যক্রমে অধিক মনোযোগী। এখানকার বেশির ভাগ শিক্ষক ক্লাসের বাইরেও একজন স্কলার হিসেবে পরিচিত। সুশিক্ষা ছড়িয়ে দিতে তাই আমাদের কোনো ধরণের পিছুটান নেই।
বক্তব্যে তথ্য ও প্রযুক্তিগত জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে নতুন শিক্ষার্থীদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সিআইইউ বিজনেস স্কুলের অধ্যাপক ড. নুরুল আবসার নাহিদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন স্কুল অব সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল হক খান, স্কুল অব লিবারেল আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সের ডিন অধ্যাপক কাজী মোস্তাইন বিল্লাহ, স্কুল অব ল-এর উপদেষ্টা অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন, বিজনেস স্কুলের ডিন ড. নাঈম আবদুল্লাহ, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আনজুমান বানু লিমা প্রমুখ।
সকাল থেকে দলবেধে নগরীর বিভিন্ন খ্যাতনামা কলেজের শিক্ষার্থীরা আসতে শুরু করেন ওপেন ডে’তে। এই সময় তারা প্রতিটি স্কুল ঘুরে জেনে নেন পছন্দের সাবজেক্টে ভর্তির আদ্যোপান্ত।
অনুষ্ঠানে ভর্তির ওপর বিশেষ ছাড় ছাড়াও ছিলো স্পট অ্যাডমিশন, সেমিস্টার ফি ওয়েবার, ক্যারিয়ার আড্ডা, ক্যাম্পাস জব, স্কলারশীপ, বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথশিক্ষা কার্যক্রমের নানান তথ্যসহ অনেক কিছু।
চট্টগ্রামের হালিশহর-এ ব্লকের অভিভাবক লাভলী আক্তারের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, সন্তানকে একটি ভালো মানের বিশ^বিদ্যালয়ে পড়ানোর দুশচিন্তা কাটাতে এখানে এসেছি। মেয়ের পছন্দ বিবিএ। আমি চাই ইংরেজি নিয়ে পড়–ক। ওর বাবা আবার মেয়েকে সমর্থন দিচ্ছে।
বর্তমানে সিআইইউতে বিজনেস স্কুল, স্কুল অব সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, স্কুল অব লিবারেল আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেস ও স্কুল অব ল-প্রোগ্রামের অধীনে একাধিক সব সাবজেক্টে ভর্তির সুযোগ রয়েছে বলে জানান কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ সময়:১৭৩৫ ঘণ্টা, ২৯ জুলাই ২০১৯
জেইউ/টিসি