তিনি বাংলানিউজকে বলেন, পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশনায় সিএমপির বিভিন্ন বিভাগে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। চিঠিতে কনস্টেবল থেকে এসআই পর্যন্ত যাদের জেলা চট্টগ্রাম, তাদের তথ্য চাওয়া হয়।
তবে ইতোমধ্যে গত তিনদিনে যে ৭ জন পুলিশ পরিদর্শক ও ৬জন ট্রাফিক পরিদর্শককে বদলির আদেশ দেওয়া হয়েছে, তার সঙ্গে অঞ্চলভিত্তিক বদলির কোনও সম্পর্ক নেই বলে জানান সিএমপি কমিশনার।
জানা গেছে, অন্য জেলাগুলো বাদ দিয়ে শুধুমাত্র চট্টগ্রামের জন্য এ ধরনের নির্দেশনা আসায় সমালোচনাও হয়েছে। তাই এ ব্যাপারে পুলিশ সদর দপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) কনস্টেবল, এএসআই ও এসআই পদমর্যাদার যেসব পুলিশ সদস্যের নিজ জেলা চট্টগ্রাম, তাদের তথ্যাদি বিশেষ বাহকের মাধ্যমে জরুরি ভিত্তিতে সিএমপির কেন্দ্রীয় রিজার্ভ অফিসে পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর থেকে সিএমপিতে শুরু হয় বদলি আতঙ্ক।
সিএমপি সূত্রে জানা গেছে, বদলির আদেশ পাওয়া পুলিশ কর্মকর্তাদের আগামী ২০ অক্টোবরের মধ্যে নতুন কর্মস্থলে যোগ দিতে বলা হয়েছে। বদলি হওয়া পুলিশ পরিদর্শকের মধ্যে আতিক আহমেদ চৌধুরীকে ঢাকা সিআইডিতে, ফজলুল করিম সেলিম ও সুকান্ত চক্রবর্তীকে সিলেট রেঞ্জে, মো. আবুল কালাম, সাইফুল আলম চৌধুরী, মর্জিনা আকতার মর্জু ও আসাদ করিম চৌধুরীকে চট্টগ্রাম রেঞ্জে পাঠানো হয়। চান্দগাঁও থানার ওসি মো. আবুল কালামের বাড়ি সাতকানিয়া ও বন্দর থানার ওসি সুকান্ত চক্রবর্তীর বাড়ি রাউজানে।
এছাড়া ট্রাফিক বিভাগ থেকে শহর ও যানবাহন পুলিশ পরিদর্শক দেবব্রত কর, সিরাজ উদ-দৌলা, মোহাম্মদ আবদুল কুদ্দুছ, মোহাম্মদ সরওয়ারুজ্জামান, সুভাষ চন্দ্র দে ও কানু চন্দ্র বিশ্বাসকে বদলি করা হয়েছে। বদলিকৃতরা কর্মস্থলে যোগ না দিলে ২১ অক্টোবর তাৎক্ষণিক অবমুক্ত হিসেবে ধরে নেওয়া হবে বলেও জানানো হয় আদেশে।
সিএমপির সদস্য সংখ্যা প্রায় ৭ হাজার। এরমধ্যে প্রায় দুই হাজার জনের বাড়ি চট্টগ্রামে, যাদের বেশিরভাগই এসআই, এএসআই ও কনস্টেবল।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৯
এসকে/এসি/টিসি