এছাড়াও টিকিট কালোবাজারি রোধে অভিযানে ৮জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে ৩টি এবং টিকিট উদ্ধার করা হয় ৫০টি।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, ২০১৯ সালের এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ২১টি মামলা হয় শুধু ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ করার দায়ে।
ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ ছাড়াও, ট্রেনের বাফারে ও ইঞ্জিনে অবৈধভাবে ভ্রমণ, রেল স্টেশনে ভাসমান লোকজনের ঘোরাঘুরি এমনকি স্টেশনে হকারদের বিরুদ্ধেও উচ্ছেদ অভিযান জোরদার করে রেলপ্রশাসন।
রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর চিফ ইন্সপেক্টর আমান উল্লাহ আমান জানান, ২০১৯ সালের ৫ অক্টোবর থেকে ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত ১২টি মামলায় ৩৭ জনকে আসামি করে রেলওয়ে আইনের-১৮৯০ এর ১১২, ১১৩ এবং ১১৮ ধারার ২ উপ-ধারায় মামলা দায়ের করে আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়।
এছাড়া সেপ্টেম্বর মাসেও রেল স্টেশনের বিভিন্ন অপরাধে ২৩০ জন অবৈধ যাত্রীকে আটক করা হয়। রেলওয়ে টিকিট চেকারের মাধ্যমে এরমধ্যে ১২৯ জন যাত্রীকে ১৫ হাজার ১৭০ টাকা জরিমানা করা হয়। বাকি ১০১ জন যাত্রীকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। ওই মাসে ২৮টি অভিযান পরিচালনা করে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী। অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্তও বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করা হয়।
আমান উল্লাহ আমান বাংলানিউজকে বলেন, অভিযানের ফলে ছাদে ওঠা এখন অনেকটা কমে গেছে। এছাড়া টিকিট কালোবাজারির দৌরাত্ম্যও কমে গেছে। প্রায় প্রতিদিনই রেলওয়ে স্টেশনে ও ট্রেনে অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
ছাদে উঠলে একবছর কারাদণ্ড
১৮৯০ সালের রেলওয়ে আইনের ১২৯ নম্বর ধারা অনুযায়ী ‘যদি কোনো ব্যক্তি বিপজ্জনক বা বেপরোয়া কার্যের দ্বারা অথবা অবহেলা করে কোনো যাত্রীর জীবন বিপন্ন করে, তবে তার এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা জরিমানা কিংবা উভয় প্রকার দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারে। ছাদে ভ্রমণকারী এবং ভ্রমণে উৎসাহ ও সহযোগিতা প্রদানকারীও সমান অপরাধী।
বিনা টিকিটের যাত্রীদের বিরুদ্ধেও অভিযান
এদিকে বিনা টিকিটে ট্রেনে ভ্রমণ করা যাত্রীদের বিরুদ্ধেও নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। প্রতিদিনই বিভিন্ন আন্তঃনগর ট্রেনে এসব অভিযান চালানো হচ্ছে। ২০১৯ সালের ২০ নভেম্বর বিভিন্ন আন্তঃনগর ট্রেনে বিনা টিকিটে ভ্রমণ করায় ১৪৬ জন যাত্রীকে জরিমানা করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ভাড়াসহ প্রায় ৮৫ হাজার টাকা আদায় করা হয়।
এভাবে প্রায় সময় অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে জানিয়ে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) মো. আনসার আলী বলেন, এ বিষয়ে ট্রেনের টিকিট চেকারদের কঠোরভাবে নির্দেশনা দেওয়া আছে। যাতে বৈধ যাত্রীরা কোনোভাবে হয়রানি শিকার না হয় সেজন্য বিনা টিকিটে ভ্রমণ করা যাত্রীদের দ্বিগুণ জরিমানা করা হয়।
তিনি বলেন, নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করার ফলে বিনা টিকিটে ট্রেন ভ্রমণ করা যাত্রী সংখ্যা কমে এসেছে। এ সংখ্যা আমরা শূন্যের কোটায় নিয়ে যেতে চাই। এছাড়া টিকিট কালোবাজারি রোধে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২০
জেইউ/এসি/টিসি