তিনি বলেছেন, দেশের মানুষের জীবনমানে এখন বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। অবকাঠামো, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ সবক্ষেত্রেই দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) নবনির্মিত আবাসিক ছাত্রী হল ‘শামসেন নাহার খান হল’ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এম এ মান্নান বলেন, জাতির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আমরা আমাদের কর্তৃত্ব আমাদের হাতে পেয়েছি। দেশটাকে আমাদের মতো করেই গড়ে তোলার সুযোগ পেয়েছি। অবকাঠামোগত উন্নয়ন আমরা যদি এখন না করি তবে পরবর্তী প্রজন্ম ঠিকই করবে।
‘কিন্তু দাস জাতি কোনো মহৎ কাজ করতে পারবে না। আমাদের এখন উন্নত জাতি তৈরি করতে হবে। ’
চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, ওয়াসিকা আয়েশা খান, কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল অফ বাংলাদেশ মোহাম্মদ মুসলিম উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান মো. জহিরুল আলম দোভাষ এবং এ কে খান ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি সেক্রেটারি সালাহউদ্দিন কাসেম খান।
নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এটিএম শাহজাহান এবং মানবিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাহিদা সুলতানার যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. সুদীপ কুমার পাল।
বক্তব্য দেন এ কে খান ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি এম জিয়াউদ্দিন খান, ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক, শামসেন নাহার খান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সামসুল আরেফিন ও সুফিয়া কামাল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ফারজানা রহমান জুথী।
এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী বলেন, ২০২২ সালের মধ্যে চট্টগ্রাম শহর থেকে রেললাইন চুয়েট হয়ে কাপ্তাই চলে যাবে। এছাড়া চুয়েট ক্যাম্পাসকে ঘিরে সিলিকন ভ্যালির আদলে আইটি ভিলেজ গড়ে তোলার প্রচেষ্টা চলছে। আমার পক্ষ থেকে সব ধরণের সহযোগিতা থাকবে।
ওয়াসিকা আয়েশা খান বলেন, বাংলাদেশের সমাজব্যবস্থায় নারী শিক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা আমরা এখন বুঝতে শিখেছি। নারী শিক্ষাকে উৎসাহিত করতে প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন উদ্যোগ সেটাই প্রমাণ করে। চুয়েটের মেয়েরাও এক্ষেত্রে দেশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
মোহাম্মদ মুসলিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, একে খান ফাউন্ডেশন সমাজহিতৈষী কাজগুলো নিছক প্রচারের জন্য করে না। তারা কেবল খান সাহেবের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করে চলেছেন। ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় চুয়েটের ছেলেমেয়েরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি আশা করি।
মো. জহিরুল আলম দোভাষ বলেন, চট্টগ্রামের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের সঙ্গে চুয়েট জড়িত। মুক্তিযুদ্ধে চুয়েটের দুজন ছাত্র শহীদ হয়েছেন। এটা গর্বের বিষয়। বর্তমানে অনেক মেয়ে প্রকৌশল শিক্ষা নিয়ে পড়ছেন। চট্টগ্রামের মেয়েরা এক্ষেত্রে আরও এগিয়ে যাবে বলে আমি প্রত্যাশা করি।
এ কে খান ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি সেক্রেটারি সালাহউদ্দিন কাসেম খান বলেন, জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতির (নলেজ বেইসড ইকোনমি) প্রতি আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে। না হয় উন্নয়ন টেকসই হবে না। ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে টিকে থাকতে হলে উন্নয়ন টেকসই করতে হবে।
চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, এখন থেকে চুয়েটের মেয়েদের আবাসিক হলে আসন সঙ্কট থাকবে না। শিক্ষাবান্ধব বর্তমান সরকারের গতিশীল ও বিচক্ষণ নেতৃত্বের ফলে দেশে নারীদের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় ব্যাপক আগ্রহের সঞ্চার হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৯
এমআর/টিসি