রেলওয়ের পরিবহন ও বাণিজ্যিক বিভাগ সূত্র জানায়, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ করা হয় গত ২৪ মার্চ। সেই থেকে এখনও যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করছে না।
অন্যদিকে ২৪ মার্চ থেকে চলাচল করেছে মালবাহী ট্রেন। যাত্রীবাহী ট্রেন বন্ধ থাকায় মালবাহী ট্রেন চলাচলে গতি পায়। আগে যেখানে ৪টি মালবাহী ট্রেন চলাচল করতো সেখানে ২৪ মার্চ থেকে ৬টি ট্রেন চলাচল করে। এরমধ্যে ২৪ থেকে ২৮ মার্চ ৪ দিনে আয় হয়েছে প্রায় ২ কোটি টাকা।
একটি মালবাহী ট্রেন থেকে রেলওয়ের আয় হয় ১০ লাখ টাকা। ২৪ মার্চ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল ৫ থেকে ৬টি ট্রেন চালায়। এর মধ্যে তেল ও বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী পরিবহনে তিনটি, বাকি তিনটি কন্টেইনার বহন করতো। গত দুই মাস গড়ে ৩টি মালবাহী ট্রেন চলাচল করেছে। সে হিসেবে মাসে প্রায় ১০ কোটি টাকা হলে দুই মাসে ২০ কোটি টাকা আয় করেছে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল।
রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা আনসার আলী বাংলানিউজকে বলেন, চট্টগ্রাম থেকে গড়ে ২৫-২৬ লাখ টাকা আয় হতো। এখন ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় এই আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে রেলওয়ে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা ওমর ফারুক বাংলানিউজকে বলেন, মালবাহী একটি ট্রেন লোড করতে পারলে ১০ লাখ টাকা আয় হয়। প্রতিদিন তিনটি মালবাহী ট্রেন চালালে ৩০ লাখ টাকা আয় হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৬ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০২০
জেইউ/এসি/টিসি