বুধবার (১৮ মার্চ) সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন ও মন্ত্রিপরিষদের অতিরিক্ত সচিব নাসিমা বেগম উপস্থিত ছিলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, যারা আমাদের ঠিকাদার হবেন, এই ক্রয় কমিটি থেকে যত প্রকল্প অনুমোদন দেব, এরা সবাই বড় ও মাঝারি ঠিকাদার। সবারই আয়কর দেওয়ার মত সক্ষমতা আছে। আমরা এখন থেকে ভেরিফাই করে নেব ট্যাক্স ফাইল আপটুডেট আছে কিনা। যারা আয়কর দেবেন না, তারা কাজ পাবেন না।
এ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে নতুন নতুন ট্যাক্স পেয়ার পাওয়া যাবে এবং রাজস্ব আরো বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন অর্থমন্ত্রী।
আগে কি এসব প্রতিষ্ঠান ট্যাক্স দিতো না- প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আগে দিতো কি দিতো না সেটা কীভাবে জানবো। আগেতো এভাবে চাওয়া হয়নি। কিন্তু তারপরও ডেফিনেটলি ভ্যাটতো দেয়ই এখন ভ্যাটকে যদি ট্যাক্সের সাথে মিলাইয়া ফেলেন তাহলেতো হবে না। আমরা দুইটা জিনিস দেখে নিচ্ছি, ট্যাক্স যদি দেয় তাহলে আইটিটেন বিও চলে আসবে। কারণ ওই ফরমেটেই বলা থাকে উনার বছরের শুরুতে সম্পদের পরিমাণ কত ছিলো। বছরের শেষে এসে সব খরচ বাদ দিয়ে তার সম্পদ কতটা বাড়লো।
উৎসে কর বিষয়ে অপর এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, যাদের কাছ থেকে আমরা উৎসে কর নিই, সেটা অনেকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় না। যে পরিমাণ লাভ করবে বলে আমরা ধারণা করেছিলাম সে পরিমাণ লাভ করতে পারে না। সুতরাং তাদেরকে রিফান্ড দেওয়া লাগে। রিফান্ড দিতে অনেক জটিলতার সৃষ্টি হয়। সেজন্য আমরা একটাকে আরও সহজ করে দেব। হয়তো আমরা এটাকে অন্য আকারে নিয়ে যাবো।
বাজেট ঘোষণার সময় আপনি বলেছিলেন, বাজেটে যেটা আছে সেটাই থাকবে, এখন থেকে কোনো এসআরও জারি হবে- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এখন এসআরওর পরিমাণ অনেক কমে গেছে। বাজেট পড়ার আগে কি কথা ছিলো আমাকে ডেঙ্গু মশায় কামড় দেবে? আমরা আস্তে আস্তে পরিমাণ কমাচ্ছি। আগে যেদিন ফাইন্যান্স বিল পাস হতো সেদিনও অনেক এসআরও জারি হতো। এখন কিন্তু সে পরিমাণ জারি হয় না।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২০
জিসিজি/এজে