এ বছর পাসের হার ৮৫ দশমিক ৯৫শতাংশ। যা গত বছর ছিলো ৭৬ দশমিক ৬ শতাংশ।
জেলার সেরা বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীরা শতভাগ পাস করে তাদের সাফল্যের ধারা এবারও ধরে রেখেছে। জেলার ৬টি উপজেলায় ১৭৮টি বিদ্যালয়ে মোট ১৭ হাজার ৮৮৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ১৫ হাজার ৩৭৫জন। এরমধ্যে ১১টি বিদ্যালয় শতভাগ পাস করেছে।
বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে সদর উপজেলার ৭ হাজার ২৪৭ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ৬ হাজার ৪৯৭ জন। পাসের হার ৮৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৯৮জন।
দাগনভূঞা উপজেলার বিদ্যালয়গুলো থেকে ৩ হাজার ১২৯ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ২ হাজার ৭৩৫জন। পাসের হার ৮৭ দশমিক ৪১ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯৮জন।
ছাগলনাইয়ায় এক হাজার ৯৮৬ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে এক হাজার ৭৬২জন। পাসের হার ৮৮ দশমিক ৭২ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭৬জন।
সোনাগাজীতে দুই হাজার ৬৩৩ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে দুই হাজার ২০১জন। পাসের হার ৮৩ দশমিক ৫৯ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৩জন।
ফুলগাজীতে এক হাজার ৫৮৯ জন পরীক্ষা দিয়ে পাসে করেছে এক হাজার ১৯৮জন। পাসের হার ৭৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৯জন। এছাড়া পরশুরামে এক হাজার ৩০৪ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ৯৮২জন। পাসের হার ৭৫ দশমিক ৩১ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৯জন।
এদিকে বিগত বছরের ন্যায় এবারও ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজসহ শহরের সরকারি বিদ্যালয়গুলো তাদের সাফল্যের ধারা অব্যাহত রেখেছে। ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজ থেকে ৫৬ জন পরীক্ষা দিয়ে শতভাগ পাস করেছে এবং সবাই জিপিএ-৫ পেয়েছে। ফেনী সরকারি পাইলট হাইস্কুলে ৩৩০ জন পরীক্ষা দিয়ে সবাই পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩০ জন। পাসের হার শতভাগ।
ফেনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৩০১ জন পরীক্ষা দিয়ে সবাই পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২৯ জন। পাসের হার শতভাগ। ফেনী শাহীন একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ৪৩১ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ৪২২ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪০ জন। পাসের হার ৯৮ শতাংশ। ফেনী সেন্ট্রাল হাইস্কুল থেকে ৬০৯ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ৫৮৮ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৯ জন। পাসের হার ৯৩ দশমিক ২৭ শতাংশ। ফেনী জিএ একাডেমি থেকে ৪৪৬ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ৩৭৫জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৫ জন। পাসের হার ৮৪ দশমিক ৮ শতাংশ। ফেনী মডেল হাইস্কুল থেকে ৪৮৩ জন পরীক্ষা দিয়ে পাসে করেছে ৪২২জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৫ জন। পাসের হার ৮৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ।
ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজের গ্রুপ ক্যাপ্টেন মুনিম খান মজলিশ জানান, প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব পাঠদান পদ্ধতি অনুসরণ, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সমন্বিত প্রচেষ্টায় এ ধরনের ভানো ফলাফল অর্জন সম্ভব হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, মে ৬, ২০১৯
এসএইচডি/ওএইচ/