দুপুর ১২টায় পালানিস্বামীকে সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি দেন রাজ্যপাল। এর আগে গত মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাজ্যপালের কাছে সরকার গঠনের অনুমোদন প্রার্থনা করে চিঠি দেন পালানিস্বামী।
পালানিস্বামীকে সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানিয়ে রাজ্যপালের দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, এআইএডিএমকে’র পরিষদীয় নেতা ও দলের সেক্রেটারি পালানিস্বামীকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদে নিয়োগ দিয়েছেন রাজ্যপাল। একইসঙ্গে যথাসম্ভব তাকে শিগগির মন্ত্রিসভা গঠনের অনুরোধ জানানো হচ্ছে। পাশাপাশি পালানিস্বামীকে ১৫ দিনের মধ্যে বিধানসভায় আস্থাভোটের আহ্বান জানানো হচ্ছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, বিকেলে তামিলনাড়ুর রাজভবনে পালানিস্বামীকে শপথ পড়াবেন রাজ্যপাল বিদ্যাসাগর।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, পালানিস্বামীকে নিয়োগ দেওয়ার আগের দিন বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী পনিরসেলভাম ও পালানিস্বামীর সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যপাল। বিধায়ক সংখ্যা পক্ষে থাকার বিবেচনায় পালানিস্বামীকেই কার্যনির্বাহী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করেন রাজ্যপাল।
জানা যায়, রাজ্যপালের কাছে পক্ষে থাকা ১২৪ জন বিধায়কের তালিকা দেন পালানিস্বামী। আর পনিরসেলভামের পক্ষে জমা হয় ৮ জনের তালিকা।
রাজ্যের ‘আম্মা’ খ্যাত মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিলতার মৃত্যুর পর নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয় তামিলনাড়ুতে। কিন্তু এ প্রক্রিয়ায় দলটির মধ্যে দ্বন্দ্ব স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ক্ষমতার এ দ্বন্দ্ব দেখা যায় জয়ার ঘনিষ্ঠ সহচরী শশীকলা দলের অন্যতম প্রধান নেতা ও ভারপ্রাপ্ত মুখ্যমন্ত্রী পনিরসেলভামের মধ্যে।
শশীকলা তার পক্ষে দলের সব বিধায়ক আছে দাবি করলেও পনিরসেলভাম অভিযোগ করেন, বিধায়কদের জিম্মি করে মুখ্যমন্ত্রীর পদ দখল করতে চাইছেন শশীকলা। কিন্তু এরমধ্যে শশীকলার বিরুদ্ধে একটি দুর্নীতি মামলার বিচারকার্য চলতে থাকে। গত মঙ্গলবার সেই মামলায় তাকে ৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ দণ্ডের ফলে ১০ বছরের জন্য কোনো নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বন্ধ হয়ে যায় তার। পরে ‘আম্মা’ এবং শশীকলার ঘনিষ্ঠ পালানিস্বামীকে সামনে নিয়ে আসে এআইএডিএমকে’র একটি অংশ। বিধায়কদের সভায় সেই পালানিস্বামীকেই পরিষদীয় নেতা নির্বাচিত করা হয়। আর পনিরসেলভামকে পাশ কাটিয়ে এখন এই পালানিস্বামীই হতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশ সময়: ১৩০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৭/আপডেট ১৪১১ ঘণ্টা
এইচএ/