সিউলের ইউনহাপ নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, আন্তঃকোরিয়ান যোগাযোগ চ্যানেলটি বুধবার (০৩ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় দুপুর সাড়ে তিনটায় পুনরায় চালু হবে।
সিউলের সঙ্গে আলোচনা ও গেমসে দল পাঠাতে তিনি প্রস্তুত- উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জংয়ের এ ঘোষণার পর হটলাইন চালু হতে যাচ্ছে।
দক্ষিণ কোরীয় একত্রীকরণ মন্ত্রী চো মাইয়ং জিওনও মঙ্গলবার (০২ জানুয়ারি) আগামী মাসের পিয়ংচ্যাঙ অলিম্পিক গেমসে অংশগ্রহণের বিষয়ে উত্তর কোরিয়াকে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনার প্রস্তাব পাঠান। তার প্রস্তাব হচ্ছে, আগামী ০৯ জানুয়ারি দুই দেশের প্রতিনিধিরা ‘যুদ্ধবিরতির গ্রাম’ প্যানমানজমে আলোচনায় বসতে পারেন। কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টিত সীমান্তের গ্রামটি নিরপেক্ষ অঞ্চল, যেখানে আগেও আলোচনায় বসেছে দুই দেশ।
তবে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরের পরে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের কোনো আলোচনা হয়নি।
উত্তর কোরিয়ার একজন কর্মকর্তা টেলিভিশন চ্যানেলকে বলেন, অলিম্পিকে উত্তর কোরিয়ান খেলোয়াড়দের পাঠানোর প্রস্তাবের পাশাপাশি বাস্তব বিষয় নিয়েও আলোচনা করবে দু’টি দেশ।
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের সম্ভাব্য প্রতিনিধিদল পাঠানোর কর্মপরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করবো’।
উত্তর কোরিয়ান খেলোয়াড়দের মধ্যে মাত্র দু’জন অ্যাথলেট রওম টিই-ওকে ও কিম জু-সিক পিয়ংচ্যাঙ গেমসের জন্য যোগ্য। যদিও এ দুই ফিগার স্কেটার তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার আনুষ্ঠানিক সময়সীমা মিস করেছেন, তবে এখনও আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির আমন্ত্রণে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন তারা।
এ বিষয়ে নিশ্চয়তাও রয়েছে। কেননা, পিয়ংচ্যাঙ গেমসের সাংগঠনিক কমিটির সভাপতি লি হি-বিওম এর আগে দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদ সংস্থা ইয়োহাপকে উত্তরের সম্ভাব্য অংশগ্রহণের কথা শুনে আনন্দিত প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন।
‘এটি নতুন বছরের একটি উপহারের মতো’- বলেছিলেন তিনি।
দক্ষিণ কোরিয়াও জানিয়েছে, গেমসে উত্তরের অংশগ্রহণকে স্বাগত জানানো হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০১৮
এএসআর