শুক্রবার (০৬ জানুয়ারি) বাদ জুম্মা দোয়া-মোনাজাতের মাধ্যমে দোকান চালু করেন ব্যবসায়ীরা।
ডিএনসিসি পাকা মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি তালাল রিজভী বাংলানিউজকে জানান, অগ্নিকাণ্ডের পর শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে দোকানপাট চালু করতে বলা হয়েছে।
পাকা মার্কেট ব্যবসায়ীদের কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা এখন বলা যাচ্ছে না। ব্যবসায়ীদের নিয়ে আমরা বসবো, কার কেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেটি আলোচনা করে জানানো যাবে। এ বিষয় শনিবার বৈঠক করার কথা রয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডের পর আজ ডিএনসিসি'র পাকা মার্কেটের ব্যবসায়ীরা তাদের দোকান খুলেছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, দোকান খোলার পর মালপত্র গোছাতে ব্যস্ত ডিএনসিসি পাকা মার্কেটের দোকানিরা। তারা দোকানের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ মেরামতের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। অনেক আবার ক্ষতির হিসাব-নিকাশও করছেন।
পুরো মার্কেট চালু না হলেও সামনের অংশের কিছু দোকান খুলেছে। আর ভেতরে সব দোকানিরাই পরিষ্কারের কাজ করছে। কাঁচা বাজারের পাশে থাকা দোকানগুলো বেশি ক্ষতি হয়েছে। এমনটাই দেখা গেছে। ওইসব দোকান পুনঃপ্রস্তুতের জন্য চলছে কাজ।
মার্কেটের ব্যবসায়ী আলী আকবর বাংলানিউজকে বলেন, আল্লাহর রহমতে আবার দোকান চালু করেছি। তবে মার্কেটে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। বর্তমানে জেনারেটরের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ চলবে। সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
তবে আগামী দু’দিনের মধ্যে মার্কেটের বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে বলেও ডিএনসিসি জানিয়েছে।
এদিকে, মার্কেটের ভেতরে দোকান চালু করেছে অনেকেই। তবে আলো নেই বলে চার্জার লাইট ব্যবহার করছে অনেক ব্যবসায়ী।
গত সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ডিএনসিসি মার্কেটে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ২৬টি ইউনিট চেষ্টা চালিয়ে পরদিন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০১৭
এসজেএ/ওএইচ/এসএইচ