ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

চালের দাম কমবে নতুন ধানে!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৭
চালের দাম কমবে নতুন ধানে! চালের দাম কমবে নতুন ধানে, বলছেন ব্যবসায়ীরা। ছবি: সুমন শেখ

ঢাকা: এক সপ্তাহ আগে আরেক দফায় কেজিপ্রতি সব ধরনের সরু চালের দাম এক থেকে দেড় টাকা বেড়েছে। তবে ভিয়েতনাম থেকে আমদানি করায় স্থিতিশীল রয়েছে মোটা চালের দাম।

কমেনি অন্য চালের দাম। বন্যা ও অতি বৃষ্টিতে সরাসরি ধানের ক্ষতি ও উৎপাদন কম হওয়ায় চালের দাম বাড়তি বলে বিক্রেতাদের দাবি।

চালের ব্যবসায়ীরা জানান, অগ্রহায়ণ মাসে চাষিদের ঘরে নতুন ধান না উঠা পর্যন্ত সহসাই কমবে না চালের দাম!

ততদিন বেশি দরেই রয়ে যাবে চাল?

শুক্রবার (১১ আগস্ট) রাজধানীর কারওয়ানবাজারে সরু চালে এক থেকে দেড় টাকা বেড়ে হাজি মোহাম্মদ আব্দুল আলী পাইকারি দোকানে প্রতিকেজি ভালোমানের নাজির ৬০ থেকে ৬২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে সাধারণ মানের নাজির বিক্রি হচ্ছে ৫৬ থেকে ৫৭ টাকা দরে। এছাড়া সাধারণ মানের মিনিকেট ৫২ থেকে ৫৬, উত্তম মানের মিনিকেট ৫৫ থেকে ৫৬, আটাশ ৪৬ থেকে ৪৮, বাসমতি ৭৪ থেকে ৭৫ ও সিদ্ধ কাটারিভোগ চাল ৭৬ থেকে ৭৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও মানভেদে প্রতিকেজি চিনিগুড়া বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকা দরে।
 
কারওয়ানবাজারের পাইকারি দোকানের মালিক শরিফুল ইসলাম বলেন, এক সপ্তাহ আগে চিকন চালে এক থেকে দেড় টাকা বেড়েছে। এই দাম কমেনি। তবে মোটা চালের দাম স্থিতিশীল আছে।
 
কবে নাগাদ চালের দাম কমবে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চাষির ঘরে নতুন ধান না উঠা পর্যন্ত চালের দাম কমার কোনো সম্ভাবনা নেই। সরকার চাল আমদানি করলেও দাম কমেনি। এবার ধানের ফলন কম। দেশে ধানের সংকটও।
 
পাইকারি ব্যবসায়ীরা দাবি করে বলেন, দাম কমাতে হলে মোটা চালের পাশাপাশি চিকনও আমদানি করতে হবে। তাহলে সব ধরনের চালের দাম কমতে পারে। কারওয়ানবাজারে মোটা এলসি চাল ৪৩ টাকা দরে বিক্রি হলেও দেশীয় মিলের মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা দরে। এছাড়াও সাধারণ মানের পাইজাম ৪৭ থেকে ৪৮, উত্তম মানের পাইজাম ৪৮ থেকে ৫০, লতা ৫০ থেকে ৫১, মোটা স্বর্ণা ৪৪, চায়না ইরি ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
 
কিছু কিছু পাইকারি চাল ব্যবসায়ী জানান, চাষিদের ধান উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় চালের দাম অনেক। পাশাপাশি অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত ও বন্যায় হাওরে ধানের ক্ষতি হওয়ায় দাম কমছেই না।  

তারা দাবি করছেন, নতুন ধান না উঠলে চালের দাম আর কমবে না! অরেকটা উপায় হলো সরু চাল আমদানি।
 
মেসার্স আব্দুল হক রাইস এজেন্সির মালিক মনসুর আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, চালের দাম এখন কমবে না, কারণ ধানের দাম বেশি। একজন শ্রমিককে দৈনিক দিতে হয় ৭০০ টাকা। তবে অগ্রহায়ণে যদি ভালো ফসল হয়, তখন একটু নড়াচড়া করতে পারে।
 
হঠাৎ করে চালের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে আব্দুল হক বলেন, বর্ষার কারণে ধান নষ্ট হয়ে গেছে। হাওরে বাঁধ ভাঙাও কারণ। সবমিলিয়ে অনেক চাষি ধান কাটতে পারেননি। বহু জায়গায় বহু ফসল নষ্ট হয়েছে।

আমদানি কমায় বেড়েছে পেঁয়াজের ঝাঁজ
ঈদের আগে কমছে না পেঁয়াজের দাম!

 
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৭
এমআইএস/আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।