ঢাকা, রবিবার, ১২ মাঘ ১৪৩১, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ২৫ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

বারহাট্টায় পিয়াস ‘হত্যাকাণ্ডে’ জড়িতদের বিচারের দাবি 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৮
বারহাট্টায় পিয়াস ‘হত্যাকাণ্ডে’ জড়িতদের বিচারের দাবি 

নেত্রকোনা: নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার কর্ণপুরের স্কুলছাত্র পিয়াস মিয়াকে ‘হত্যা’ করা হয়েছে অভিযোগ করে জড়িতদের বিচার চেয়ে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন স্থানীয়রা। 

সোমবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে ফকিরের বাজারে এ বিক্ষোভ করেন তারা। পরে কলমাকান্দা-নেত্রকোনা সড়কের উড়াদীঘি বাজার এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন চল্লিশ কাহনীয়া হাফিজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

 

এ সময় সেখানে মানববন্ধনও করা হয়। তখন স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ছাড়াও জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।  

মানববন্ধনে সন্দেহভাজন ঘাতক কান্দাপাড়ার রুবেল মিয়া ও তার ভাই নজরুল ইসলামসহ জড়িতদের কঠোর শাস্তি দাবি করা হয়।  

স্থানীয়দের অভিযোগ, অভিযুক্ত নজরুল, রুবেল ও তার পরিবারের সদস্যরা এলাকায় সুদে টাকা দেওয়ার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের ওপর নির্যাতন করে। যা পিয়াস নিহত হওয়ার সবার সামনে এসেছে।  

এর আগে রোববার (২৬ আগস্ট) নিজ বাড়ি থেকে নিহত পিয়াসের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। নিহত পিয়াস চল্লিশ কাহনীয়া হাফিজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণিতে পড়তো।   

সোমবার দুই দফা জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে পিয়াসের মরদেহ দাফন করা হয়। পিয়াসের পরিবারের অভিযোগ, তাকে হত্যা করা হয়েছে।  

জানাজায় বারহাট্টা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খায়রুল কবির খোকন, রায়পুর ইউনিয়ন (ইউপি) পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান রাজু, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল বারেক, বিএনপির সভাপতি মুজিবুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক গোলাপ ফকির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।  

এদিকে পিয়াস নিহত হওয়ার ঘটনায় থানায় কোনো মামলা হয়নি বলে জানিয়েছেন ফকিরের বাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম।  

বাংলানিউজকে তিনি বলেন, স্কুলছাত্র পিয়াসের মৃত্যু নিয়ে দুই ধরনের বক্তব্য পাওয়া গেছে। তাছাড়া আমরা এখনও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাইনি।  

‘মূলত ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পর মামলা করা হবে। তবে অভিযোগের ভিত্তিতে সন্দেহভাজন অভিযুক্তদের পরিবারের দুই সদস্যকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ  করা হয়েছে। ’  

এ বিষয়ে রায়পুর ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান রাজু বাংলানিউজকে বলেন, পিয়াসের মরদেহের সার্বিক অবস্থা দেখে আমাদের মনে হয়েছে এটা হত্যাকাণ্ড। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৮
এসআরএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।