এ ক্ষেত্রে ন্যান্সি সামাজিক কিংবা রাজনৈতিক কোনো ধরনের প্রভাব বিস্তার করতে পারবেন না বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বোরহান উদ্দিন খান।
মামলার প্রধান আসামি ন্যান্সির ভাই শাহারিয়ার আমান সানিকে পুলিশ গ্রেফতারের পর থেকেই বাদী সামিউন্নাহার শানু ও তার পরিবারের ওপর নানাভাবে হুমকি আসতে থাকে।
তিনি জানান, ন্যান্সির ছোটভাই শাহারিয়ার আমান সানির স্ত্রী সামিউন্নাহার শানু ০৬ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাতে নেত্রকোনা মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে তিনজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।
মামলায় সানিকে প্রধান আসামি করার পাশাপাশি সানির বোন ন্যান্সি ও বোন জামাই নাদিমুজ্জামান যায়েদকেও অভিযুক্ত করা হয়। শুক্রবার (০৭ সেপ্টেম্বর) রাতে নেত্রকোনা শহরের সাতপাই এলাকার নিজ বাসা থেকে সানিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এদিকে, মামলার বাদী শানু বাংলানিউজকে জানান, কলেজে পড়াকালীন সানির সঙ্গে পরিচয় হয় তার। পরে দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠলে ২০১৫ সালে পারিবারিকভাবে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। সংসার জীবনে বর্তমানে তাদের সারা নামে চার মাস বয়সী একটি মেয়ে রয়েছে।
বিয়ের পর থেকেই বেকার সানি চাপ সৃষ্টি করে শ্বশুরবাড়ি থেকে নানাভাবে আর্থিক সাহায্য সহযোগিতা নিচ্ছিলেন। এসব ঘটনায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সানিকে নির্দেশ দিচ্ছিলেন ন্যান্সি ও তার স্বামী যায়েদ। কিন্তু সম্প্রতি সানি মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেন। শানু অপারগতা জানালে তাকে মারধর করে সানি। এক পর্যায়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা চালালে উপস্থিত সানির বন্ধুরা শানুকে রক্ষা করে।
খবর পেয়ে শানুর ভাইয়েরা পুলিশ নিয়ে বোনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। উপায়ন্তর না পেয়ে পরবর্তীতে আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হন শানু।
এ ব্যাপারে ন্যান্সির কাছে জানতে তাকে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
** স্ত্রীর করা মামলায় কন্ঠশিল্পী ন্যানসির ভাই গ্রেফতার
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৮
এনটি