এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থানার ফলারিয়া জ্ঞানশরণ মহারান্য বিহার থেকে ১৫ শিষ্য এবং ৩০ সেবক নিয়ে পদযাত্রা শুরু করেন।
পদযাত্রায় চট্টগ্রামের পটিয়া হয়ে, লোহাগাড়া, সাতকানিয়া, চকরিয়া, রামু, কক্সবাজার, উখিয়া, বাঁশখালী, চট্টগ্রাম শহর, মিরসরাই, ফেনী, কুমিল্লা, দাউদকান্দি হয়ে গত ২ মার্চ দিবাগত রাত আড়াইটায় ঢাকায় পৌঁছান তিনি।
যাত্রা পথে সাধক ভদন্ত শরণংকর বেশ কয়েকটি ধর্মীয় সভায় একক সদ্ধর্ম দেশনা প্রদান করেন; যেখানে হাজারো বৌদ্ধ নর-নারী অংশ নেন।
শরণংকর থের’র উপাসক এবং সমাজ সেবক ছোটন বড়ুয়া বলেন, ঢাকার কমলাপুর ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারে দু’দিন বিশ্রাম এবং ধর্ম দেশনা শেষে সোমবার বিকেল ৪টায় তিনি যশোরের বেনাপোলের উদ্দেশে হাঁটা শুরু করেন।
ঢাকা জেলার দোহার, নবাবগঞ্জ, মধুখালী এবং যশোর হয়ে আগামী ৭ মার্চ দিবাগত রাতে তার বেনাপোলে পৌঁছানোর কথা। পরদিন সেখানে এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ শেষে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের বিহার রাজ্যে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সর্বোচ্চ তীর্থ স্থান বুদ্ধগয়ার উদ্দেশে যাত্রা করবেন।
ছোটন বড়ুয়া বলেন, ভদন্ত শরণংকর থের-এর আগামী ২২ মার্চ বুদ্ধগয়ায় পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। তীর্থ ভ্রমণ শেষে এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে আবার পদব্রজে বাংলাদেশের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবেন।
তিনি বলেন, যাত্রা পথে ভদন্ত শরণংকর থের প্রায় আড়াই হাজার কিলোমিটার পথ হাঁটবেন। মহামতি গৌতম বুদ্ধের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ধর্মগুরু এ সফর করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০১৯
এমএ/