পরের শিক্ষাটা ‘চার সংখ্যার’! ১০৯০। আবহাওয়ার হটলাইনের সঙ্গে প্রথম পরিচয় হয় গত বছর উন্নয়নমেলায়।
শুধু ইতিবাচক নয়, নেতিবাচক শিক্ষাও দিয়ে গেছে ‘ফণী’। আমরা যে দুর্যোগ নিয়েও হাসি-তামাশা আর ট্রল করার মতো অবিবেচক রয়ে গেছি; তা ‘ফণী’ না এলে কি জানতাম? ফেসবুক পেজ আর গ্রুপে লাইক আর শেয়ার বাড়ানোর জন্য কেউ কেউ অন্য পুরনো ঝড়ের ভিডিও পোস্ট করে লিখেছেন- ‘দেখুন ফণী’। সোশ্যাল মিডিয়ায় এ বিভ্রান্তির জগত থেকে বের হওয়া বড় একটা চ্যালেঞ্জ। কারণ, ঘটনা যতোই গুরুগম্ভীর আর বিপদসংকুল হোক না কেন, কেউ কেউ তা নিয়ে ‘ফান’ করতে ছাড়ে না।
নেতিবাচক শিক্ষার এখানেই শেষ নয়। দুর্যোগের আগে ডাউন হয়ে গেলো আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট। ‘বেশি’ ভিজিটর হওয়াতেই নাকি এই বিপত্তি! এখনো আমরা ওয়েবসাইটগুলোকে ‘এয়ারপোর্টের ভিআইপি লাউঞ্জ’ ভাবতে পছন্দ করি। সত্যিকার অর্থে জনসেবামুখী এসব ওয়েবসাইট হতে হবে ‘জনবহুল রেলস্টেশন’র মতো ভার বহনে সক্ষম। কনকারেন্ট ইউজারের সংখ্যা যে দুর্যোগের সময় বেশি হবে, সেটা মাথায় রাখতে হবে ভবিষ্যতে।
সামনের দুর্যোগমুক্ত রোদ ঝলমলে দিনে এসব শিক্ষাগুলো সঙ্গে নিয়ে এগোনো বড়ই জরুরি। ভাগ্যিস ‘ফণী’ পূর্ণশক্তি নিয়ে আসেনি! ক্ষয়ক্ষতির হিসেব-নিকেশ তাই নিঃসন্দেহে তুলনামূলক কম হয়েছে। সৃষ্টিকর্তাকে অশেষ ধন্যবাদ আমাদের রক্ষা করার জন্য। তবু তো ঝরে গেছে কিছু প্রাণ, ভেঙেছে-ভেসেছে ঘরবাড়ি, ব্যাহত হয়েছে স্বাভাবিক জীবন। দুর্যোগ এমনই। বেশি হোক আর কম, কষ্ট আর দুর্দশা ছাড়া আর কিছু দিতে পারে না।
লেখক
সিনিয়র সহকারী সচিব
ইমেইল: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১১৫১ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০১৯
এইচএ/