শুক্রবার (১ নভেম্বর) সকালে জেলা সদরের কালাঘাটার আর্যগুহা ধুতাঙ্গ বিমুক্তি বিহারে অনুষ্ঠিত হয় দানোত্তম শুভ কঠিন চীবর দানোৎসব।
এ উপলক্ষে সকালে আর্যগুহা বিহারে জাতীয় এবং ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন ও মঙ্গলসূত্র পাঠের মাধ্যমে পূজনীয় ভিক্ষুসংঘের পিণ্ডাচরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
পরে এক ধর্মসভায় আর্যগুহা ধুতাঙ্গ বিমুক্তি বিহারের ভদন্ত ড. এফ দীপংকর মহাথের উপস্থিত বৌদ্ধ দায়ক-দায়িকা ও উপাসক-উপাসিকাদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ধর্মীয় দেশনা প্রদান করেন। এসময় বান্দরবান আর্যগুহা ধুতাঙ্গ বিমুক্তি বিহারের কঠিন চীবর দান উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক প্রসন্ন কান্তি তঞ্চঙ্গ্যা, সদস্য সচিব অজয় বড়ুয়া, সেবিকা হিমালয়া বড়ুয়া, সেবক ভুটান বড়ুয়া, প্রিয়রঞ্জন বড়ুয়া, মিলন বড়ুয়াসহ আর্যগুহা ধুতাঙ্গ বিমুক্তি বিহারের সেবক সেবিকা, দায়ক দায়িকা, বান্দরবান রাঙামাটি-খাগড়াছড়িসহ বিভিন্ন জেলা উপজেলার বৌদ্ধ ধর্মালম্বীরা উপস্থিত হয়ে পঞ্চশীল প্রার্থণায় অংশ নেয় এবং ভান্তেদের বিভিন্ন রকমের দান করে।
এসময় আর্যগুহা ধুতাঙ্গ বিমুক্তি বিহারের ভদন্ত ড. এফ দীপংকর মহাথেরসহ আর্যগুহার সব ভান্তেরা আগত সব ভক্তদের কাছ থেকে পিণ্ড (উৎকৃষ্ট খাবার) গ্রহণ করেন। সন্ধ্যায় বিশ্ব শান্তি কামনায় মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন আর ফানুস বাতি উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দানোত্তম কঠিন চীবর দানোৎসবের সমাপ্তি ঘটে।
ভিক্ষুদের তিনমাস বর্ষাবাস শেষে প্রবারণা পূর্ণিমার পরদিন থেকে বিহারে বিহারে শুরু হয় কঠিন চীবর দানোৎস এবং এক মাস পর কার্তিক পূর্ণিমার দিন শেষ হবে এ চীবর দানোৎসব। সুতা থেকে কাপড় বুনে ভিক্ষুদের দান করা হয় বলে একে কঠিন চীবর দানোৎসব বলা হয়। বৌদ্ব ধর্মালম্বীদের জন্য এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন বলে জানান বৌদ্ধ দায়ক-দায়িকারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১৯
এসএইচ