ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন বৃহস্পতিবার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২০ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০২০
ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ে। ছবি: বাংলানিউজ

মাদারীপুর: ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত নির্মিত এক্সপ্রেসওয়ের দ্বার বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) উন্মোচন হতে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সড়কটি উদ্বোধন করবেন বৃহস্পতিবার। এ উপলক্ষে মাদারীপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে বিশেষ প্রস্তুতি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার কাঙ্ক্ষিত ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের দ্বার খুলে দেওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করবেন।

ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে হচ্ছে দেশের প্রথম এক্সপ্রেস হাইওয়ে। যেখানে মূল সড়কে থাকবে চারটি লেন। সঙ্গে সড়কের দুই পাশে থাকছে সাড়ে ৫ মিটার করে (একেক পাশে দুই লেন করে) দু’টি সার্ভিস লেন। এই এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করতে টোল দিতে হবে সব ধরনের যানবাহনকে। এক্সপ্রেসওয়েটি চালু হয়ে গেলে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা যেতে সময় লাগবে মাত্র ৪২ মিনিট।

দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে, ৫ ঘণ্টার রাস্তা ৫৫ মিনিটেই!

জানা যায়, ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গার দূরত্ব ৫৫ কিলোমিটার। সদ্য নির্মিত এক্সপ্রেসওয়ে ধরে এই দূরত্ব পার হতে সময় লাগবে মাত্র ৪২ মিনিট। আর ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত ৩৫ কিলোমিটার দূরত্বে যেতে সময় লাগবে ২৭ মিনিট। তবে পদ্মাসেতু হবার পর ভাঙ্গা থেকে ঢাকা পর্যন্ত যেতে ৪২ মিনিট ব্যয় হবে। ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ে।  ছবি: বাংলানিউজরাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৫৫ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৬ সালের জুলাই মাসে। ২০১৯ সালের জুনের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল এই প্রকল্পের। পদ্মার ওপার থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার সড়কের নির্মাণ কাজ আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিল। বাকি ছিল ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে মাওয়া পর্যন্ত ৩৫ কিলোমিটার অংশের কাজ।

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এই প্রকল্পে প্রথমে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৬ হাজার ২৫২ কোটি ২৮ লাখ টাকা। পরবর্তিতে সংশোধিত ডিপিপিতে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৬ হাজার ৮৯২ কোটি ২৮ লাখ টাকা।

এর বাইরে মূল প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত হয়নি এমন কিছু কাজের জন্য পরবর্তীতে ২০১৮ সালের জুনে চার হাজার ১১১ কোটি টাকার আরেকটি পৃথক ডিপিপি অনুমোদন করে সরকার।

এই ডিপিপি অনুযায়ী কাজের মেয়াদ ধরা হয়েছে জুন ২০২০ সাল পর্যন্ত। দু’টি ডিপিপি মিলিয়ে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে মোট ব্যয় হচ্ছে ১১ হাজার ৩ কোটি টাকা। আট লেনের এই এক্সপ্রেসওয়েটি সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের তত্ত্বাবধানে নির্মাণ করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর স্পেশাল ওয়ার্কস অর্গানাইজেশন-এসডব্লিউও (পশ্চিম)।

শিবচরের সূর্যনগর এলাকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বললে তারা বলেন, ‘চোখের সামনে এই সড়কের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সকাল-বিকেল শুধু কাজ দেখে গেছি। অনেক দ্রুত এই সড়কের কাজ হয়েছে। এই সড়ক দেখে মনে হয় এটা বাংলাদেশ না, অন্যকোন দেশ। আমরা গর্বিত এই সড়কটি পেয়ে। ’

তারা আরও বলেন,‘মহাসড়কটি চালু হওয়ায় শিবচর থেকে ঢাকা যেতে সময় অনেক কম লাগবে। আগে যেখানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় লাগতো, এখন থেকে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই আমরা ঢাকা যেতে পারবো। ’

মাদারীপুর জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম জানান, ‘বৃহস্পতিবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সড়কটির ফলে এ অঞ্চলে যোগাযোগের এক নতুন দ্বার উন্মোচিত হতে যাচ্ছে। ’

বাংলাদেশ সময়: ০৮২০ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০২০
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।