বুধবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে লালমনিরহাট সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন বড়বাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্পাদক এসএম আশরাফুল হক মিঠু।
এর আগে মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ি বাজারে অবস্থিত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলার ঘটনা ঘটে।
** লালমনিরহাটে আ’লীগ অফিসে হামলা-ভাঙচুর, আটক ২
গ্রেফতাররা হলেন- সদর উপজেলার বড়বাড়ি ইউনিয়নের শিবরাম গ্রামের মৃত আব্দুল হাইয়ের ছেলে সাজেদুল ইসলাম সাজে (৪২), একই এলাকার খোদাবাগ গ্রামের আনছার আলীর ছেলে আমজাদ হোসেন (৩০) ও সাদেক নগরের ময়েন উদ্দিনের ছেলে মিঠু মিয়া (৩৫)।
মামলার বিবরণ দিয়ে লালমনিরহাট সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রায়হান আলী বাংলানিউজকে বলেন, উপজেলার বড়বাড়ি ইউনিয়নের প্রাণকেন্দ্র শিমুলতলা মোড়ে গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোট প্রার্থী জিএম কাদেরের একটি বিলবোর্ড সাঁটানো ছিল। ২৮ জানুয়ারি (সোমবার) সন্ধ্যায় সেই বিলবোর্ডটি সরিয়ে কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুর ছবি সাঁটায় বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ নিয়ে উভয় দলের নেতাকর্মীদের মাঝে বাকবিতণ্ডা হয়।
এর জের ধরে কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জেলা বিএনপি সভাপতি অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুর নির্দেশে আসামিরা দলবদ্ধ হয়ে পরদিন মঙ্গলবার দুপুরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে টিভিসহ আসবাবপত্র ভাঙচুর করে।
খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। এ ঘটনায় সন্দেহজনকভাবে তাৎক্ষণিক দু’জন ও পরে আরও একজনকে আটক করা হয়।
এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে এক লাখ টাকা ক্ষতি উল্লেখ করে ২৭ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন বড়বাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্পাদক এসএম আশরাফুল হক মিঠু। আটকদের এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন ওসি রায়হান আলী।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৯
জিপি