সোমবার (২৯ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নগরের রেজিস্ট্রারি মাঠে সিলেট জেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী বলেন, আমি আশাবাদী সিলেটের যুবলীগ তাদের পুরোনো ঐতিহ্যে নিয়ে ফিরিয়ে আনবে।
সম্মেলনের উদ্বোধক যুবলীগের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, যুবলীগ মাঠের রাজনীতি করে, স্লোগানের নয়। যারা নিজেদের নামে কর্মীদের দিয়ে স্লোগান ও হাততালি দিয়ে নেতা হতে চান, তারা কখনই যুবলীগের নেতৃত্বে আসতে পারবেন না।
‘নেতা হতে চাইলে কাউন্সিলরদের মন জয় করুন। কাউন্সিলররাই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় প্রত্যক্ষ ভোটে নির্ধারণ করবে যুবলীগের নেতৃত্ব। সুতরাং ভাইয়ের নামে শ্লোগান দিয়ে কোনো লাভ হবে না। ’
যুবলীগ নেতাকর্মীদের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, আগে আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে- যুবলীগ করবেন, নাকি টেন্ডারবাজি করবেন। কারণ টেন্ডারবাজ, চাঁদাবাজদের স্থান যুবলীগে হবে না।
তাই কোনো ধরনের চাপে নত না হয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য কাউন্সিলরদের প্রতি আহ্বান জানান যুবলীগের সভাপতি।
সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, কেন্দ্রীয় সদস্য ও সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী।
বক্তব্য রাখেন- যুবলীগ নেতা শহীদ সেরনিয়াবাত, মুজিবুর রহমান চৌধুরী, মাহবুবুর রহমান হিরন, আব্দুস সাত্তার মাসুদ, মোহাম্মদ আতাউর রহমান, অ্যাডভোকেট বেলাল হোসেন, ড. আহমদ আল কবীর, মোতাহার হোসেন সাজু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহি উদ্দিন মহি, সুব্রত পাল প্রমুখ।
সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে কাউন্সিলররা ভোটের মাধ্যমে সিলেট জেলা যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করবেন।
২০০৩ সালে যুবলীগের সম্মেলনে সমঝোতার মাধ্যমে জগদীশ চন্দ্র দাসকে সভাপতি ও আজাদুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি গঠন করা হয়। এরপর জেলা যুবলীগের আর কোনো সম্মেলন হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪১ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৯
এনইউ/এমএ