আগরতলার পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া গ্রাম লঙ্কামুড়া, সানমুড়া ও কালীকাপুর। এই এলাকাগুলোতে সারা বছর প্রচুর পরিমাণে মৌসুমি সবজি চাষ হয়ে থাকে।
এই ডগা বিক্রির জন্য ক্ষেত থেকে কাটছিলেন লঙ্কামুড়া এলাকার চাষি কেশব রুদ্রপাল।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, এবার মৌসুমের শুরুতে আমি প্রায় আধ বিঘা জমিতে কুমড়ার চারা লাগিয়েছি। কুমড়ার ডগাসহ অন্যান্য সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে। একআঁটি ডগা ১০ রুপি করে বিক্রি করেছি। কিন্তু এখন বাজারে ডগা বিক্রি করে ভালো দাম পাচ্ছি না।
তিনি আরও বলেন, প্রতিবছর শীতকালে রাজধানীর প্রতিটি বাজারসহ আশ-পাশের এলাকায় হরিনাম সংকীর্তনের আসর বসে। সেখানে মহাপ্রসাদ বিতরণ করা হয়। এর সঙ্গে পাঁচমিশালী সবজি রান্না করা হয়। তাতে কুমড়ার ডগা দেওয়া হয়। তাছাড়া সাধারণ বাড়িঘরেও ডগার চাহিদা থাকে তাই প্রথম দিকে ভালো দামে বিক্রি করেছি। কিন্তু এখন চারাও লাভের কথা চিন্তা করে ডগা চাষ করলে দাম অনেকটাই পড়ে যায়।
নির্মল দাস নামে আরেক চাষি বলেন, এবছর প্রায় পাঁচ গণ্ডা জমিতে কুমড়ার চারা লাগিয়েছিলাম। কুমড়ার ডগা বাজারে বিক্রি করেছি। কিন্তু ভালো দাম পাচ্ছি না।
ত্রিপুরা সরকারের কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী প্রাণজীৎ সিংহ রায় বাংলানিউজকে বলেন, ভারত সরকার কৃষকদের বছরে ছয় হাজার রুপি করে দেওয়ার প্রকল্প চালু করছে। এ প্রকল্পে অর্থ সরাসরি কৃষকদের ব্যাংকের খাতায় যাবে। তাছাড়া কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে সরকার কৃষকবান্ধব নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। সেলক্ষ্যে ত্রিপুরা সরকারও কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, রাজ্যজুড়ে শীতের সবজির ছড়াছড়ি। ফলে সবজির দাম এখন তুলনামূলকভাবে কিছুটা কম। তবে, খুব দ্রুত চাষিদের এ সমস্যার সমাধান হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২০
এসসিএন/এএটি