বুধবার (১১মার্চ) বাংলানিউজকে দেওয়া এক একান্ত সাক্ষাৎকারে এ কথা জানালেন ত্রিপুরার শিল্প উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান টিংকু রায়। এই দুটি সীমান্ত হাট হবে ত্রিপুরার উত্তর জেলার ধর্মনগর এলাকায় এবং ধলাই জেলার কমলপুর এলাকায়।
সীমান্ত হাট নির্মাণ সংক্রান্ত বিষয়ে এদিন বিকেলে আগরতলার খেজুর বাগানে শিল্প উন্নয়ন নিগমের অফিসে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকে টিংকু রায় ছাড়াও ত্রিপুরা সরকারের বিভিন্ন দফতরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে যত দ্রুত সম্ভব হাট দুটির নির্মাণ কাজ শুরু করতে হবে।
বৈঠক শেষে টিংকু রায় বাংলানিউজকে জানান, খুব দ্রুত এ দুটি সীমান্ত হাট নির্মাণ কাজ শুরু হবে। ইতিমধ্যে হাট নির্মাণের জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। ত্রিপুরা শিল্প উন্নয়ন নিগমের তদারকিতে হাট দুটি নির্মাণ করা হবে।
এই দুটি হাত নির্মাণের পর ত্রিপুরা-বাংলাদেশ সীমান্তে আরো দুটি হাট নির্মাণের বিষযয়ে আলোচনা চলছে উভয় দেশের মধ্যে। পরিকল্পনাধীন হাটগুলি হলো- পশ্চিম জেলা অন্তর্গত বামুটিয়া এলাকা এবং সিপাহীজলা জেলার সোনামুড়া এলাকা।
মূলত সীমান্তে অবৈধ চোরাচালান বন্ধ করতেই অধিক সংখ্যক সীমান্ত হাট নির্মাণে আগ্রহী উভয় দেশের সরকার।
ত্রিপুরা রাজ্যের দক্ষিণ জেলা শ্রীনগর এলাকায় একটি এবং সিপাহীজলা জেলার কসবা এলাকায় একটি সীমান্ত হাট রয়েছে। এই হাটগুলোতে উভয় দেশের মানুষ পণ্য সামগ্রী কেনাবেচা করে থাকেন। ত্রিপুরা ছাড়াও উত্তর-পূর্ব ভারতের মেঘালয় রাজ্যের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে হাট রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২০
এসসিএন/এজে