এরা হলেন- ঊনকোটি জেলার লোকুজ আলী, ধলাই জেলার হিরণ দেবনাথ এবং পশ্চিম জেলার প্রশান্ত সিংহ। ঊনকোটি জেলার কৈলাশহর ধলিয়াকান্দির গ্রামের বাসিন্দা লোকুজ আলী বাংলানিউজকে জানান, প্রায় দুই বছর আগে শখের বশে একটি আঙুরের চারা লাগিয়েছিলেন।
লোকুজ আলী পেশায় কৃষক। তবে তার শখ বিভিন্ন ফল ও ফুল চাষের। তাই আঙুর গাছের চারাটি কিনেছিলেন। ফল দেখতে নিজ গ্রামসহ আশপাশের গ্রাম থেকে প্রতিদিন মানুষ এখন ভিড় করছে তার বাড়িতে।
কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দফতরের অধীন উদ্যান এবং মৃত্তিকা সংরক্ষণ বিভাগ সহায়তা করলে তিনি নিজে অন্য ফসলের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে আঙুর চাষ করবেন বলেও জানান।
এই আঙুরের স্বাদ কেমন এবং উৎপাদন খরচ কত? রাজ্যে উৎপাদন খরচ কি বহির্রাজ্যের তুলনায় কম? উত্তরে তিনি জানান, তার গাছের আঙুর স্বাদ মিষ্টি এবং এর উৎপাদন খরচ খুব সামান্য। বাণিজ্যিকভাবে এই ফল চাষ করলে বাজারের দামের চেয়ে অনেক কম দামে বিক্রি করা যাবে।
একইভাবে ধলাই জেলার কুলাই গ্রামের বাসিন্দা হিরণ দেবনাথও শখের বশে একটি আঙর গাছ প্রায় তিন বছর আগে লাগিয়েছিলেন। গত দুই বছর সামান্য আঙুর ধরলেও এবছর প্রচুর পরিমাণে ফলন হয়েছে তার গাছে।
এবছর এত ফলন হওয়ার কারণ কী মনে করছেন? হিরণ দেবনাথ বলেন, মনে হচ্ছে এবছর আঙুর ফলন দেওয়ার প্রকৃত অবস্থা এসেছে তাই এবছর ভালো ফলন হয়েছে।
তিনি জানান, উদ্যান বিভাগ যদি সহায়তা দেয় তাহলে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু করবেন। তার আরো অভিমত অন্য ফল ও সবজির তুলনায় আঙুর চাষ অনেক বেশি লাভজনক। তাই অন্য ফলের মতো আঙুর চাষেও সরকারের দ্রুত এগিয়ে আসা উচিত।
আগরতলার বড়জলা এলাকার বাসিন্দা প্রশান্ত সিংহের বাড়িতে লাগানো গাছেও প্রচুর পরিমাণে আঙুর ধরেছে এবার।
ত্রিপুরা সরকারের কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী প্রণজীৎ সিংহ রায় বাংলানিউজকে জানান, বর্তমান সরকার শুধু প্রথাগত চাষিদেরই সহায়তা করবে এমনটা নয়। রাজ্যে নতুন ধরনের যেসব ফল ও ফসল উৎপাদিত হবে এসব সামগ্রী চাষের ক্ষেত্রে সরকার চাষিদের সহায়তা করবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮২৯ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০২০
এসসিএন/এএ