ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৪ পৌষ ১৪৩১, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আগরতলা

জিম খুলে দিতে ত্রিপুরা জিম ওনারস ফোরামের আহ্বান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০১ ঘণ্টা, জুলাই ২, ২০২০
জিম খুলে দিতে ত্রিপুরা জিম ওনারস ফোরামের আহ্বান

আগরতলা(ত্রিপুরা): ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলাসহ অন্যান্য জেলা শহরের ব্যায়ামাগারগুলো খুলে দিতে আর্জি জানিয়েছে ত্রিপুরা জিম ওনারস ফোরাম।

বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) আগরতলার প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এই আহ্বান জানানো হয়।  

সেসময় ত্রিপুরা জিম ওনারস ফোরামের সদস্যরা জানান, তিন মাস ধরে রাজ্যের সকল ব্যায়ামাগার বন্ধ থাকায় কর্মরত কর্মচারীদের বেতন দেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।

তবে চাইলে রাজ্য সরকার কন্টাইনমেন্ট জোন ছাড়া ব্যায়ামাগার খুলে দিতে পারে।  

শহরের সংস্কৃতে এই জিম ব্যবসা বেশ নতুন হলেও, সংখ্যাটা গোটা রাজ্য মিলিয়ে প্রায় তিনশ'রও বেশি। নতুন এই ব্যবসায় সবমিলিয়ে প্রায় ৩ হাজার পরিবারের ভরণপোষণ চলছে। লকডাউনে আর দশটি আর্থিক কার্যক্রমের সঙ্গে জিমও বন্ধ গত তিন মাস। আয় বন্ধ থাকলেও কর্মচারীদের বেতন, ভাড়া এবং ব্যাংকের বকেয়া মিলে পরিস্থিতি ভয়াবহ ধারণ করেছে। অবস্থা এমন যায়গায় এসে ঠেকেছে যে ব্যায়ামাগার বিক্রি করার পর্যায়ে এসেছে বলে জানিয়েছেন তারা।  

নিজেদের এই করুন অবস্থার কথা জানিয়ে গত ১৩ মে ফোরামের পক্ষে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবকে চিঠি দেয় জিম ওনারস ফোরাম। জুনের শুরুতেই আনলক ওয়ান থেকে ব্যায়ামাগার গুলো বন্ধ রাখার কথা থাকলেও, স্থানীয় পরিস্থিতির বিচারে কন্টাইনমেন্ট জোন ছাড়া অন্য এলাকায় ব্যায়ামাগার খুলে দিতে রাজ্য সরকার গুলিকে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি জানিয়ে ফোরামের পক্ষে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা শাসকের কাছেও চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু সরকারের পক্ষে কোন সাড়া না পেয়ে সংবাদ সম্মেলন ডেকে ফোরামর পক্ষে বিষয়গুলো তুলে ধরেন সম্পাদক অমিত চৌধুরী।  

তিনি আরো জানান, এই পরিস্থিতিতে ফোরামের একটাই আর্জি সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যায়ামাগার খোলা হোক। অবলম্বে এগুলো না খোলা হলে গোটা ব্যবসায় ধসে নামবে বলে তিনি মনে করেন। দেশের অন্যান্য শহরে ব্যায়ামাগার তথা জিম খুলে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি যেখানে জাতীয় চিত্রে তুলনায় অনেক ভালো, তাই ব্যায়ামাগারকে খোলার অনুমতি দিক সরকার, দাবি ফোরামের।  

তাছাড়া ব্যায়ামাগার বিষয়টি স্বাস্থ্য সুরক্ষার সঙ্গেও জড়িত, চিকিৎসকরা যেখানে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে জোর দিচ্ছে, সেখানে ব্যায়ামাগার বন্ধ রাখা নিয়ে প্রশ্ন তোলে ফোরাম।

বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, জুলাই ৩, ২০২০।
এসসিএন/জেআইএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।